ভারতে মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত সন্দেহে ওই রাজ্যে যাঁদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে পালিয়ে গিয়েছেন ১৩ জন। বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগে রয়েছে রাজ্য সরকার। কারণ যারা পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ওই রোগ। তাঁদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ। এরপরে কেউ পালালে যাতে সহজে চেনা যায়, সেজন্য তাঁদের বাঁ হাতে কালির ছাপ দেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপী একথা জানিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। ভোট দেওয়ার পরে আঙুলে যে কালি লাগানো হয়, সেই কালি দিয়ে হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির বাঁ হাতে একটি ছাপ দেওয়া হবে। যাতে ওই ব্যক্তি আইসোলেশন ভাঙলে তাঁকে সহজে চিহ্নিত করা যায়।
মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন, “কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া মানে এই নয় যে তিনি অপরাধী। তাঁদের যথাযথ চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। এ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।” জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মহারাষ্ট্রের মন্ত্রালয়ে কারও প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পুরভোট। শহরে শিক্ষায়তনগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। মহামারী মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ৪৫ কোটি টাকার তহবিল বানিয়েছেন। মুম্বইয়ে ২২০ বছরের পুরাতন সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।