সপ্তাহ খানেক আগেই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ঘর ভাঙিয়েছে পদ্ম শিবির। সেখানে হাত শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দলত্যাগ করেছে ২২ কংগ্রেস বিধায়ক। সেই ক্ষত এখনও শুকোয়নি, তার আগেই এবার গুজরাত কংগ্রেসে ‘বিদ্রোহ!’ রাজ্যের ৪ কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন গুজরাত বিধানসভার স্পিকার রাজেন্দ্র ত্রিবেদী। তাঁদের নাম, আজ, সোমবার তিনি বিধানসভায় জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার তিনি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেন, ‘আমি চার জন কংগ্রেস বিধায়কের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। তাঁদের নাম আমি সোমবার বিধানসভায় ঘোষণা করব।’ যদিও এই পদত্যাগের কথা স্বীকার করেনি কংগ্রেস।
কংগ্রেসের যে চার বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে জে ভি কাকডিয়া এবং সোমাভাই প্যাটেল রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বাকি দু’জনকে ধোঁয়াশা রয়েছে। বিধায়কদের ইস্তফা দেওয়ার কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন রাজ্যে কংগ্রেসের আর এক বিধায়ক ব্রিজভাই ঠুম্মার। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘এ রকম গুজব ছড়িয়েই থাকে। কিন্তু দলের কাছে এখনও কোনও পদত্যাগপত্র পৌঁছয়নি। গতকাল পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সোমাভাইয়ের। জে ভি কাকডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি আমি।’ রবিবার সন্ধ্যায় আরও ২০-২২ জন বিধায়ককে রাজস্থান নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শনিবার ইতিমধ্যেই ১৪ জনকে জয়পুরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় বিজেপির ১০৩টি আসন। ৭৩টি আসন রয়েছে কংগ্রেসের। বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত রাজ্যসভার জন্য তিন জনকে মনোনীত করা হয়েছে। কংগ্রেস থেকেও তিন জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গুজরাত থেকে রাজ্যসভায় চারটি আসনে নির্বাচন হচ্ছে এ বছর। তার মধ্যে দু’টি জিততে হলে কংগ্রেসের প্রয়োজন ৭৪ জনের সমর্থন। দলের বিধায়করা ছাড়াও নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেবানি তাঁদের সমর্থন করতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু রাজ্যসভার দু’টির বেশি আসন জিততে গেলে বিজেপির ১১১ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ঘর ভাঙা ছাড়া উপায় নেই তাদের। ফলে সেই খেলাতেই নেমেছে তারা।