করোনা ভাইরাসের জেরে আইপিএল ছোট হয়ে যেতে পারে ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে ঠিক ছিল ২৯ মার্চ থেকে শুরু হবে আইপিএল। কিন্তু করোনা আতঙ্কের জেরে আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিএল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে পরিস্থিতি যদি অনুকূলে আসে তা হলে ২০ এপ্রিল থেকে তেরোতম সংস্করণ শুরু হতে পারে। মুম্বইয়ের সভায় উপস্থিত এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক বলেছেন, ‘টুর্নামেন্ট জুনের প্রথম সপ্তাহ পযর্ন্ত টানা যেতেই পারে। বিশেষ করে উত্তর ভারতে তো এটা টানাই যায়। কারণ এখানে বর্ষাকাল তুলনায় একটু পরের দিকে আসে।’
শনিবার মুম্বইয়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যে আইপিএলের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনায় হাজির ছিলেন সব টিমের মালিকরাই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের শাহরুখ খান, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আকাশ আম্বানি থেকে শুরু করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের নেস ওয়েদিয়া, দিল্লি ক্যাপিট্যালসের পার্থ জিন্দাল-সহ হাইপ্রোফাইল মালিকদের সঙ্গে সভা করেন সৌরভ। ভিডিয়ো কনফারেন্সে সেই সভায় যোগ দেন নারায়নস্বামী শ্রীনিবাসনও। চেন্নাই সুপার কিংসের মালিকানা থাকা ইন্ডিয়া সিমেন্টসের ডিরেক্টর তিনি।
এমনিতে সব মালিকই জানিয়েছেন, সর্ব সাধারণের নিরাপত্তা সবার আগে। সে তিনি ক্রিকেটার-কোচ হন বা দর্শক, তাঁদের সুস্থতা সবার আগে কাম্য। কিন্তু প্রত্যেকেই চান, কোনও কাটছাঁট নয়, পুরো সূচিতে হোক আইপিএল। তাঁরা আশা করেন, শেষ পর্যন্ত করোনার প্রকোপ কাটিয়ে আইপিএল হবে আগের মতো। পুরোনো তথ্য থেকে উঠে আসছে, ২০১৭ সালে আইপিএল হয়েছিল ৪৬ দিনের। ২০১৮ ও ২০১৯ সালের টি-টোয়েন্টি লিগ হয়েছিল যথাক্রমে ৪৭ ও ৫১ দিনের। শেষ পর্যন্ত তেমনই হবে ২০২০ সালের আইপিএল, আশায় বুক বাঁধছেন শাহরুখ খানরা।
এমনিতে মুখে অবশ্য সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সবার আগে বলে সভায় জানিয়ে এসেছেন শাহরুখ খান, আকাশ আম্বানি, নেস ওয়াদিয়া, পার্থ জিন্দালরা। আশাবাদী বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ নিজেও। তবে আপাতত পরিস্থিতির উপর নজর রাখা ছাড়া উপায় নেই। বোর্ড কর্তা ও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সভায় অনেকগুলো বিষয় ঠিক হয়েছে। যেমন, গতি প্রকৃতি কোন দিকে যায়, তা দেখার জন্য প্রতি সপ্তাহে এ ধরনের একটা করে বৈঠক হবে। তা ছাড়া কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ সরকারের নির্দেশ মতো চলবে বোর্ড।
এমনিতে আইপিএলের টুর্নামেন্ট ফর্ম্যাট ছোট করার আলোচনাও হয়েছে। প্রতিদিন দুটো করে ম্যাচ, ডাবল লিগের বদলে সিঙ্গল লিগ করে টুর্নামেন্ট আয়োজনের মতো অনেক ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আবার ম্যাচ হলে তা দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। এক বোর্ড কর্তা অবশ্য বলতে ছাড়েননি, ‘মাঠে দর্শক আসা বন্ধ হলে টিভি ভিউয়ারশিপ বাড়বে।’ সোজা কথায়, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা চাইছেন, আগেকার মতো পূর্ণাঙ্গ লিগ। কারণ এর সঙ্গে ব্র্যান্ডিং, বিজ্ঞাপনের মতো জায়গাগুলো জড়িয়ে আছে।