করোনা ত্রাসে শেষ পর্যন্ত পিছিয়েই গেল রাজ্যের পুরভোট। এপ্রিল নয়, সম্ভবত রমজানের পর, জুনের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। সোমবার সর্বদল বৈঠকে এমনই ঘোষণা করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল ও বিরোধী দলগুলির আবেদনে সীলমোহর দিয়েই একথা জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।
আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্যে পুরভোট করানোর পরিকল্পনা ছিল শাসকদলের। তা স্থির হলে, এর মধ্যেই ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা। কিন্তু মাঝে মারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সমস্ত পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। রোগ মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিশেষত জমায়েতের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি হয়েছে। এই সময়ে ভোট ঘোষণা হলে, প্রচারের জন্য সভা, সমাবেশ করতেই হবে। যা করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধির পরিপন্থী। আবার বিনা প্রচারে ভোটও সম্ভব নয়। তাই সবদিক খতিয়ে দেখে ভোট পিছিয়ে দিতেই চাইছিল রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। এ নিয়ে রবিবার রাতেই বিবৃতি জারি করে শাসকদল তৃণমূলও। সকলেই নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। সেইমতো এদিন সর্বদল বৈঠকে তাঁদের ডাকেন নির্বাচন কমিশনার।
ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছে, তা একপ্রস্থ ঠিকই ছিল। সোমবার সকালের আবহাওয়াতেও সেই ইঙ্গিত ছিল। সর্বদল বৈঠকের আগে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মতামতও নিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এরপর সবক’টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর কমিশনার সৌরভ দাস জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আগে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা হোক। নিশ্চিত হোক যে বিপদ কেটেছে। তারপর ভোট হবে।
কমিশন সূত্রে খবর, হাওড়া ও কলকাতায় ভোট নেওয়া হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে। বাকি ১০০টি পুরসভায় জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোটগ্রহণ। আপাতত এই সূচিই স্থির হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দলমত নির্বিশেষে সবক’টি দলই।