বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লুএইচও) নির্দেশ মেনে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে এক নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, যে স্পোর্টিং ইভেন্ট চলছে সেগুলি দর্শক ছাড়াই আয়োজন করতে হবে। করোনা ভাইরাস এড়াতে কোনও জমায়েত করা যাবে না। এই নির্দেশিকার পরেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয় ডার্বিকে ঘিরে। মমতার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই দলের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসেন। সেখানে ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেন মমতা। মমতার সিদ্ধান্তকে একবাক্যে স্বাগত জানায় ফেডারেশন। ফেডারেশনের পক্ষে থেকে জানানো হল ১৫ মার্চ স্থগিত ডার্বি।
ইঙ্গিতটা অবশ্য মিলেছিল শুক্রবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে। সেই বৈঠকেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত কলকাতা সহ রাজ্যে বড় আসরের খেলাধুলা বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আতঙ্কে ক্রীড়া মন্ত্রকের নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের বিভিন্ন ক্রীড়া শাখাগুলোকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোহনবাগান নির্ধারিত দিন অর্থাৎ ১৫ মার্চ দর্শকশূন্য যুবভারতীতে ডার্বি খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও মেগা ইভেন্ট দর্শকশূন্য গ্যালারিতে খেলতে রাজি ছিল না ইস্টবেঙ্গল। মাঠের মতো করেই মাঠের বাইরেও প্রবল হচ্ছিল ইস্ট-মোহনের কথার লড়াই। তর্ক পাল্টা তর্ক। বেগতিক দেখে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাথমিকভাবে ফেডারেশন দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করে নির্ধারিত দিনের মধ্যেই আই লিগ শেষ করার পক্ষে সওয়াল করে। পরবর্তী ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তির কাছে একরকম হার স্বীকার করে আবেদন মেনে নেয় অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। রাতের দিকে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দুই ক্লাবকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে ১৫ মার্চ যুবভারতীতে আই লিগের ফিরতি ডার্বি আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। ৩০ মার্চের পর পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। আই লিগের ফিরতি ডার্বির দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে তখনই।