পশুচিকিৎসক তরুণীকে গণধর্ষণের পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল হায়দ্রাবাদে। সারা দেশ তোলপাড় হয়েছিল সেই ঘটনায়। এবার আরো একবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ত্রিপুরায়। ত্রিপুরার সিধাই থানার মোহনপুরের রাঙাছড়িতে। ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হল এক যুবতীকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, দরিদ্র পরিবারের ২২ বছরের ওই যুবতী বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর পরিবার থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিল। সেই ভিত্তিতেই পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি চালায়। এবং ধানখেতের মধ্যে থেকে ওই তরুণীর আধপোড়া দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। পোশাকের অংশ দেখে তাঁকে চিহ্নিত করে বাড়ির লোকজন।
সূত্রের খবর, চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু কাগজপত্র জেরক্স করাতে বিকেল পাঁচটা নাগাদ মোহনপুর বাজারে গিয়েছিলেন সদ্য কলেজ পাস করা ওই তরুণী। কাজ সেরে নিজের পাড়ার বাসিন্দা সৌরভ পালের গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু সন্ধে পেরিয়ে গভীর রাত হলেও সে বাড়িতে ফেরেনি।
তরুণীর এক বান্ধবীর মাধ্যমে তাঁর বাড়ির সদস্যরা জানতে পারেন, তরুণীর ফোনটি গাড়ির চালক সৌরভ পালের কাছে রয়েছে। সৌরভ ফোনটি থাকার কথা স্বীকার করে নেয়। কিন্তু ওই তরুণী ঠিক কোথায় রয়েছে তা সে জানাতে পারেনি। কেন সে ফোনটি রেখেছিল তা-ও সে জানায়নি। উলটে মোবাইল ফেরত দেওয়ার সময় তরুণীর বাড়ির লোকদের সঙ্গে সে অভদ্র আচরণ করেন বলে অভিযোগ। রাতে গোটা ঘটনাটি থানায় লিখিতভাবে জানায় যুবতীর পরিবার।