চীনের পরই করোনায় এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইতালি। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১২০০-র বেশি মানুষ। গোটা দেশই কার্যত তালাবন্ধ। মৃতের সংখ্যা যত বাড়ছে তত ছড়াচ্ছে আতঙ্কও। এমন অবস্থায় ইতালিতে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত।
সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে, শনিবার ইটালির মিলানে উড়ে যাবে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান। করোনা দাপট দেখাচ্ছে ইরানেও। সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের দেশে ফেরাতেও ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমেছে নয়াদিল্লী।
করোনা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ গোটা পৃথিবী জুড়েই। চীনের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইতিমধ্যেই ওই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশে। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। কিন্তু এ বার সেই সংখ্যাটা আশি পেরিয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩। তার মধ্যে ৬৬ জন ভারতীয় রয়েছেন। রয়েছেন ১৭ জন বিদেশিও। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ ছুঁয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে তিহাড় জেলেও খোলা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড।
আতঙ্কে এ বার বেঙ্গালুরুতে নিজেদের একটি দফতর খালি করে দিল তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। সংস্থার এক কর্মীর শরীরে সম্প্রতি করোনার লক্ষণ ধরা পড়েছে। তাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘‘কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইআইপিএম বিল্ডিংয়ে আমাদের এক সদস্যের শরীরে কোভিড-১৯-এর লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তাই শুধুমাত্র ওই বিল্ডিংটিই খালি করা হয়েছে”।
বেঙ্গালুরুতে ইনফোসিসের ডেভলপমেন্ট সেন্টারের প্রধান গুরুরাজ দেশপান্ডে বলেন, ‘‘নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিল্ডিংটিকে জীবাণুমুক্ত করা হবে। তবে সমস্ত কর্মীদের কাছে অনুরোধ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কোনও রকম গুজবে কান দেবেন না এবং কোনও রকম গুজব ছড়াবেন না। অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এ ব্যাপারে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য।’’