বাংলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়। এই কর্মযজ্ঞে খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শামিল হয়েছেন। সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে কি করা উচিত কি নয়, সেই সমস্ত বিষয়ে সাবধান করেছেন। এই মারণ ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলায় যা কাজ হয়েছে সারা দেশে তা প্রশংসিত। শুক্রবার এক সেমিনারে এই মন্তব্য করেন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের এই রাজ্যের দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধি ডাঃ প্রীতম রায়।
তিনি বলেছেন, “সমীক্ষায় তাঁরা দেখেছেন সারা দেশের মধ্যে ভাইরাস প্রতিরোধে পশ্চিম বাংলা অনেক বেশি তৎপর এবং অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। একইসঙ্গে বলেছেন, সুস্থ মানুষের অযথা মাস্ক বা হাতে গ্লাভস পরার প্রয়োজন নেই। একটি মাস্কের আয়ু মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা, তাই বার বার সেটা ব্যবহার করলে বিপদ বাড়বে। শুধু জল দিয়ে নয়, রীতিমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে”। অর্থাৎ পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
হুগলী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এদিন করোনা ভাইরাস নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। শুক্রবার চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু–এর প্রতিনিধি ডাঃ প্রীতম রায়, বিধায়ক অসিত মজুমদার, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত আধিকারিকরা।
জেলাশাসক বলেন, “জ্বর হাঁচি কাশির উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে। অযথা করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। দেশে এখনও পর্যন্ত ৭৪টি করোনা কেস পজিটিভ হয়েছে। স্থানীয় ভাবে এরাজ্যে এখনও কোনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। তবে কোনও কেস পজিটিভ হলেই দ্রুত তা ছড়াবে”। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ইতিমধ্যেই হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় দ্রুততার সঙ্গে সব রকমের প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। এর পর ব্লক লেভেলেও ওয়ার্কশপ করা হবে।