গোটা বিশ্বের কাছেই এই মুহূর্তে আতঙ্কের আরেক নাম করোনা। ইতিমধ্যেই চীন, ইরান, ইতালির মতো একাধিক দেশে দাপট দেখিয়ে সম্প্রতি ভারতেও থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। শেষ পাওয়া খবরে দেশের মাটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩। মারা গিয়েছেন ২ জন। তবে বিশ্বের কোনও বিজ্ঞানী এখনও পর্যন্ত এর কোনও সমাধান না বের করতে পারলেও এবার পূর্ব ঘোষণা মতো করোনা ভাইরাসকে দূরে সরাতে শনিবার মূত্র পার্টির আয়োজন করল হিন্দু মহাসভা। দীর্ঘ পুজো অর্চনার পর করোনা রুখতে গো মূত্রে আস্থা চলল মূত্রপান। এক চুমুকে শেষ করা হল গ্লাস ভর্তি মূত্র। সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে মূত্রপান করলেন হিন্দু মহাসভার সভাপতি চক্রপাণি মহারাজ।
গোমূত্র ও গোবর দূর করে দিতে পারে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ। একাধিক হিন্দু সংগঠনের নেতা-নেত্রীর পাশাপাশি, বিজেপি নেতা ও দেশের সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞারও দাবি এমনটাই। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতে করোনার হানাদারির পর পুজো ও গোমূত্র- গোবরকে হাতিহার করেই এই মারণ ভাইরাস রুখতে মাঠে নেমেছেন বিজেপির বহু নেতা-মন্ত্রী। সেই পথে হেঁটেই কিছুদিন আগে হিন্দু মহাসভায় প্রধান চক্রপাণি মহারাজের দাবি ছিল, ‘এই করোনা হল একটি অবতার। যিনি অমিষাশীদের শাস্তি দিতে এবং বিশ্বে ক্ষুদ্র প্রাণীদের রক্ষা করতে পৃথিবীতে এসেছেন। তবে এই ভাইরাস নির্মুল করতে গোমূত্র, গোবর ও গরুজাত সামগ্রির উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করাটা একান্ত দরকার।’
এরপরই তিনি দাবি করেন, ‘চায়ের মতো করে আমরা গোমূত্র পার্টির আয়োজন করতে চলেছি করোনা ভাইরাস রুখতে। এই পার্টিতে মানুষকে বোঝানো হবে, কীভাবে গোমূত্র ও গোবরের মতো জিনিসগুলি ব্যবহার করে করোনার প্রকোপ থেক রক্ষা পাওয়া যায়। পাশাপাশি, এখানে গোমূত্র বিলি করার জন্য একাধিক কাউন্টার থাকবে। যেখান থেকে গোমূত্র সংগ্রহ ও পান করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। সঙ্গে পাওয়া যাবে ঘুঁটে ও গোবরের ধুপ কাঠি এসব ব্যবহার করলেই দূরে চলে যাবে করোনা।’ পূর্ব ঘোষণা মতোই শনিবার হিন্দু মহাসভার সদর দফতরে বসে মূত্র পার্টির আসর। আর সেখানে চক্রপাণির পাশাপাশি হিন্দু মহাসভার সমস্ত সদস্যরা এক চুমুকে গ্লাস ভর্তি গোমূত্র পান করেন।