‘দিদিকে বলো’র পরে এবার ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি নিয়ে জনসংযোগের আসরে রেজ্জাক মোল্লা। পুরানো কর্মীদের সক্রিয় করতে ময়দানে নামলেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা মন্ত্রী।
বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ভাঙড়ের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে এবার নিবিড় জনসংযোগ করার পাশাপাশি দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বা নিষ্ক্রিয় পুরনো কর্মীদের ফের সংগঠনমুখো করতে সচেষ্ট হচ্ছেন রেজ্জাক মোল্লা। ‘জলযোগে যোগাযোগ’ নামে এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন বিধায়ক।
আগামী ৭৫ দিন ধরে ভাঙড়ের মাটি কামড়ে পড়ে থেকে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করার কাজ করবেন রেজ্জাক মোল্লা, এমনই জানিয়েছেন, রেজ্জাক পুত্র তথা জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিকে টিম থেকে নিষ্ক্রিয় পুরনো কর্মীদের নামের লিষ্ট দেওয়া হয়েছে। তা ধরেই কর্মীদের সঙ্গে মন্ত্রী রেজ্জাক বসবেন আলোচনার টেবিলে। খোঁজ নেওয়া হবে তাঁদের ক্ষোভ-দুঃখের কথা। দলের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। দলের পুরানো কর্মীদের ফিরিয়ে আনার কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য নান্নু হোসেন। তিনি বলেন, ‘১৯৯৮ সাল থেকে যাঁরা দল করেছেন তাঁদের অনেকেই আজ নানা কারনে বসে গুমরে গুমরে কাঁদছেন। তাঁদের দলে এনে প্রাপ্য সম্মান দিলে সংগঠন আরও বৃদ্ধি পাবে।’
হাতিশালায় ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে সাংবাদিক বৈঠক করেন রেজ্জাক। সেখানে রেজ্জাক মোল্লার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য নান্নু হোসেন, ভাঙড় ১ নাম্বার ব্লকের সভাপতি কাইজার আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ। এদিন রেজ্জাক মোল্লাকে উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বেশ কিছু উন্নয়ন হয়েছে। আরও অনেক কাজ বাকি আছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, শারীরিক অসুস্থতার জন্য রেজ্জাক হয়তো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না, সেক্ষেত্রে তিনি নিজের ছেলের নাম প্রস্তাব করতে পারেন। তবে রেজ্জাক বলেন, ‘এই দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা। আমি কাউকে প্রজেক্ট করলে হবে না।’