নবান্ন সভাঘরে দুই প্রধানের শীর্ষকর্তা এবং এআইএফএফ কর্তাদের সঙ্গে শুক্রবার বিস্তর আলোচনার পরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেল না। এখনও ঝুলে রইল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বির ভবিষ্যৎ। তবে এদিনের বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের কাছে করোনা সতর্কতার জন্য নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দর্শকশূন্য মাঠেই ম্যাচের আয়োজন করতে হবে। যে কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) তরফে জানানো হয়েছিল, ১৫ মার্চ নির্ধারিত দিনে যুবভারতীতে দর্শকদের উপস্থিতি ছাড়াই হবে আই লিগের ফিরতি ডার্বি। কিন্তু এই প্রস্তাবে আপত্তি তোলে ইস্টবেঙ্গল।
ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের দাবি, এই ম্যাচ ঘিরে ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে আলাদারকম উত্তেজনা থাকে। তাই এই ম্যাচ থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি তাই ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস চান, নির্ধারিত দিনেই হোক ডার্বি। কারণ পয়েন্টের নিরিখে ইতিমধ্যেই সবুজ-মেরুন ব্রিগেড লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে। তাই ট্রফি হাতে তোলার দিনক্ষণ যাতে পিছিয়ে না যায়, সে জন্য বড় ম্যাচ ১৫ মার্চই খেলতে চায় মোহনবাগান। তাছাড়া অনেক ম্যাচই দর্শকশূন্যভাবে হচ্ছে। তাই বাগান সচিবের মতে, ডার্বিও দর্শক ছাড়া হলে ক্ষতি নেই।
তবে সবপক্ষের মতামত শোনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেন। তাঁর মতে, মার্চে কলকাতায় আয়োজিত হতে চলা আই লিগের ম্যাচগুলি পিছিয়ে দেওয়া হোক। করোনার কাঁটায় ত্রস্ত গোটা রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে যতটা সতর্ক থাকা সম্ভব, সেই প্রয়াসই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্যই তিনি চান, মার্চের পর ম্যাচগুলি আয়োজিত হোক। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে পারে রবিবারের ডার্বি। বাগান সচিব প্রথমে এই প্রস্তাবে রাজি না হলেও পরে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেন। কিন্তু এ নিয়ে চূড়ান্ত নেবেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্যাটেল। তাঁর সঙ্গে আলোচনার পরই ঠিক হবে, ডার্বি সত্যিই পিছিয়ে যাচ্ছে কি না। বড় ম্যাচ নিয়ে এআইএফএফ-কে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।