করোনার থাবা পড়েছে গোটা বিশ্বের ওপরে। সরকার থেকে বলে দেওয়া হয়েছে, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে বিদেশিদের শুধু কূটনৈতিক বা কাজের ভিসার আবেদন মঞ্জুর করা হবে। এই নির্দেশ বহাল থাকলে আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিসা পাওয়া কঠিন হতে পারে। আর কে না জানে, বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগে যে আটটি দেশ খেলে, তাতে অন্তত তিরিশ থেকে চল্লিশ শতাংশ বিদেশিদের উপস্থিতি রয়েছে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, এমনিতেই প্রত্যেক ম্যাচে চার জন করে বিদেশি খেলানো যায়। আদতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিদেশিদের মিশ্রণে তৈরি হওয়া শক্তিই আইপিএলের সেরা আকর্ষণ এবং জনপ্রিয়তার মূলে। আর এই নির্দেশিকার পর আবার সংশয় তৈরী হল আইপিএলকে ঘিরে।
করোনাভাইরাসের জেরে আইপিএল ২৯ মার্চেই শুরু করা যাবে কি না, তা অনেকটাই নির্ভর করছে বিদেশি ক্রিকেটারদের ভাগ্যের উপরে। বৃহস্পতিবার সরকারের স্বাস্থ্য দফতর থেকে নতুন নির্দেশিকা আসার পরে বিদেশের ফুটবল লিগের মতো ভারতেও সব খেলা তড়িঘড়ি ফাঁকা স্টেডিয়ামে করার ব্যবস্থা হচ্ছে। কিন্তু আইপিএল হবে কি হবে না, তা শুধুই ফাঁকা স্টেডিয়ামে ম্যাচ করার উপর নির্ভরশীল নয়। বিদেশিদের ভিসা নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তা সব চেয়ে জোরে ধাক্কা দিতে চলেছে আইপিএলকেই।
আইপিএলের রাজ্যগুলির মধ্যে কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এই দুই রাজ্যে ম্যাচ করা নিয়ে আপত্তি উঠেছে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তাদের প্রধান চিন্তা এখন বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিসা নিয়ে। বিদেশিহীন হয়ে গেলে আইপিএলের জৌলুস তো কমবেই, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিও দাবি তুলতে পারে, টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া হোক। কারও কারও মত, ম্যাচ কমিয়ে পরে ছোট পরিসরে করা হোক কিন্তু বিদেশিদের নিয়ে হোক। এই প্রস্তাব ভারতীয় বোর্ড বা সম্প্রচারকারী চ্যানেলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় কি না, তা দেখার। সূত্রের খবর, বোর্ড চেষ্টা করবে বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিসার অনুমতি জোগাড় করার। সারা বিশ্বে উদ্বেগের আবহে সেই চেষ্টা কি সফল হবে? শনিবারের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আজ, শুক্রবারই মুম্বই পৌঁছে জরুরি বৈঠকে বসছেন সচিব জয় শাহ, আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেলদের নিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ সব বোর্ড কর্তার এই বৈঠকে থাকার কথা। শীর্ষ কর্তারা নিজেদের মধ্যে এক দফা আলোচনা করার পরে শনিবার আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক। সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিসার অনুমতি দেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন মুখ্য চর্চার বিষয়। যদি ভিসা মঞ্জুর করে দেওয়া হয়, তা হলে নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ, ২৯ মার্চেই ফাঁকা স্টেডিয়াম করে দিয়ে শুরু হতে পারে আইপিএল।