মধ্যপ্রদেশের ‘মহারাজা’ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই সরকার উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। লোকসভা কংগ্রেসের দলনেতা খোদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, হয়তো মধ্যপ্রদেশ হাতছাড়া হতে পারে তাদের। তবে গত কয়েকমাস আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা শিবসেনা এখনই তেমনটা মনে করছে না। বরং মহারাষ্ট্রের কায়দায় মধ্যপ্রদেশেও খেলা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যেতে বলে তাদের অনুমান। এদিন শিবসেনার মুখপাত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে এমনই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবারই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য। তাঁর অনুগামী ২২ বিধায়কও ইস্তফা দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। ফলে বিধানসভায় এখন সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বিজেপি। ফ্লোর টেস্টেও তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সেটা যে খুব একটা সহজ হবে না তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। কেননা মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার জানিয়েছেন, ইমেলে ইস্তফা গ্রহণ করবেন না তিনি। ২২ বিধায়ককে দেখা করেই নিজেদের পদত্যাগ পত্র দিতে হবে। আর তারপরই সরকার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা তৈরি হবে। শিবরাজ সিং চৌহান খুব তড়িঘড়ি বিধানসভায় অনাস্থা পেশ করতে চাইবেন না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে কোনও ভাবে মহারাষ্ট্র মডেলের পুনরাবৃত্তি না হয়।
তবে শিবসেনা মনে করছে, সেই একই মডেল মধ্যপ্রদেশেও দেখা যেতে পারে। এদিনের সম্পাদকীয়তে বিজেপিকে ‘উল্টো দিতে বইতে থাকা নদী’ বলেও কটাক্ষ করেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। ঠিক যেভাবে বিজেপিক রুখতে মহারাষ্ট্রে ‘মহা আগাড়ি জোট’ সৃষ্টি করা হয়েছিল, একই ভাবে মধ্যপ্রদেশেও পাল্টা বিজেপি-ই প্যাঁচে পড়ে যেতে পারে বলে মনে করছে শিবসেনা। রাজনীতিবিদ হিসেবে কমলনাথও যে কম পরিপক্ক নন, সেটাও বিজেপিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সেনা। তবে কংগ্রেসের প্রতি কোনও নরম মনোভাব না দেখিয়েই নেতৃত্বের অভাবকে সেখানে একহাত নেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধীর অস্তিত্বকে কার্যত অস্বীকার করেই সামনা লিখেছে, ‘ঈশ্বরের কৃপায় দলটা চলছে।’