৪ ম্যাচ বাকি থাকতেই আই লিগ জয় করেছে মোহনবাগান। সর তারপরের দিনই কিবু ভিকুনা প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন আসন্ন ডার্বির। হোসেবা বেইতিয়া, শঙ্কর রায়দের দু’দিনের ছুটি দিয়ে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়েছেন রবিবারের ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের রণনীতি তৈরি করতে।
মারিও রিভেরার দলের খেলা শেষ পাঁচটি ম্যাচের কাটাছেঁড়া করে কোন জায়গায় জনি আকোস্তারা এগিয়ে বা পিছিয়ে, তা কিবুর হাতে তুলে দিয়েছেন, ভিডিও অ্যানালিস্ট নীতিশ। আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে জিতে খেতাব দখলের পরে ড্রেসিংরুমে ফিরেই কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বাগান কোচ। সেখানে তিনি বলেন, ‘ডার্বিতে ফোকাস ঠিক রাখতে হবে। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ-সহ চারটি ম্যাচেই যত বেশি সংখ্যক সম্ভব পয়েন্ট তুলতে হবে। তবে প্রথম লক্ষ্য হবে ডার্বি জয়।’
ডার্বি জিততে মরিয়া কিবু যখন নিজের বাড়িতে রণনীতি নিয়ে ব্যস্ত, তাঁর মধ্যেই সনি নর্ডি সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে অনুরোধ করলেন, রবিবার মাঠ ভরিয়ে দেওয়া জন্য। দলকে সমর্থন জানাতে মাঠে আসার জন্য। পাঁচ বছর আগে শিল্টন পালের অধিনায়কত্বে যে দলটি শেষ বার আই লিগ জিতেছিল, সেই দলে ছিলেন বাগান সমর্থকদের একসময়ের নয়নের মণি সনি নর্ডি। তবে এখন মালয়েশিয়ায় মাল্লাকা ইউনাইটেডে খেলেন সনি।
সেখান থেকেই তিনি বলেছেন, ‘শুনলাম দশ বছর আগের ডেম্পোর রেকর্ড ছুঁয়েছে মোহনবাগান। চার ম্যাচ আগেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেইতিয়ারা। হোলির দিনে আমার প্রিয় ক্লাব আই লিগে জিতে সবুজ-মেরুন আবির খেলেছে। খবরটা শুনে মনে হচ্ছিল, আমিও চলে যাই ওই উৎসবে যোগ দিতে।’ মোহনবাগানে না খেললেও কলকাতা যে তাঁর কাছে এখনও প্রিয়, তা বোঝাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিয়মিত মোহনবাগানের খেলা দেখতে পারি না। মাঝেমধ্যে ক্লিপিংস দেখি। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে আমার এক বন্ধুর মা একটি মেসেজ করে আবেদন করেছিলেন, মোহনবাগানের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে।’
একসময়ে কলকাতায় খেলে যাওয়ার সুবাদে তিনি ভাল মতই জানেন ডার্বি জয়ের গুরুত্ব। সেজন্যই তিনি বলেছেন, ‘আইলিগে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত আছে মোহনবাগান। খেতাব জিতেছে। কিন্তু ডার্বি না জিততে পারলে খেতাব জেতাটা ফিকে হয়ে যায়। কলকাতা, শিলিগুড়ি, কটক যেখানেই ডার্বি হোক এই খেলাটা অন্যরকম হয়। ইস্টবেঙ্গল চাইবে এই ম্যাচ জিতে খেতাব জয়কে মলিন করে দিতে। তাই দেখতে চাই যুবভারতী ভরে যাক মোহনবাগান সমর্থকে।’