শীতের পরেই তীব্র গরম। কয়েক বছর ধরে এটাই রীতি হয়ে উঠেছিল ঋতুচক্রের। কিন্তু এ বছরটা একটু অন্য ভাবেই কাটছে। ক্যালেন্ডার মার্চের মাঝামাঝি বললেও এখনও সে ভাবে গরম মালুম হচ্ছে না। বারবারই বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা সে ভাবে প্রায় বাড়তেই পারেনি এখনও পর্যন্ত। সেই ছন্দ বজায় রেখে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার এবং আগামিকাল কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বুধবার যেমন বাঁকুড়া, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছিল।
শুক্র এবং শনিবার কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না। বরং রাতের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে। অপরদিকে, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও তুষারপাতে সম্ভাবনা। ঝোড়ো হাওয়া বইবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি-সহ উত্তর পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে। হবে বৃষ্টিও। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আজ সকাল থেকে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকলেও, বিকেল ও সন্ধের দিকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে রাজস্থান সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সমুদ্র থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে ঘূর্ণাবর্তের টানে। শীতল হাওয়া এবং পূবালি উষ্ণ হাওয়ার সংঘাতে বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে দেশের উত্তরপশ্চিম ও পূর্বাংশে। তাই ফাল্গুন শেষ হয়ে চৈত্র আসার সময়েও বৃষ্টি বিদায় নিচ্ছে না। গরম পড়ার মুখে দিনের বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজতে অবশ্য আমজনতার ভালই লাগছে। তাতে গরমের হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।