শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়া কংগ্রেসের তরুণ ব্রিগেডের দুই অন্যতম মুখ ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং শচীন পাইলট। কমল নাথ এবং কংগ্রেসের বর্ষীয়ান শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে চলা একবছরের মতানৈক্যের জেরে বুধবার ১৮ বছরের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য। কংগ্রেসের যাবতীয় বর্ষীয়ান নেতারা তাঁকে ‘সুবিধাবাদী’, ‘ক্ষমতালোভী’ বলে কটাক্ষ করলেও জ্যোতিরাদিত্যের প্রতি সহানুভূতিই ঝরে পড়েছে কংগ্রেসের তরুণ ব্রিগেডের।
এবার সেই পথে হেঁটেই এককালীন সহকর্মী এবং দীর্ঘ দিনের বন্ধুর কংগ্রেস ত্যাগ সম্পর্কে টুইটারে সমবেদনা প্রকাশ করেছেন শচীন পাইলট। টুইট পোস্টে শচীন লিখেছেন, ‘কংগ্রেস থেকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পথ আলাদা করে নেওয়া দেখাটা দুর্ভাগ্যজনক। আমার মনে হয়, দলের মধ্যেই মিলিতভাবে এই সমস্যা মেটানো যেত।’ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জ্যোতিরাদিত্যের পাশে না দাঁড়িয়েও রাজনীতির সূক্ষ্ম চালে এভাবেই কংগ্রেসের বয়স্ক নেতাদের ঠুকলেন দুঁদে রাজনীতিক শচীন পাইলট।
নিজের উপ মুখ্যমন্ত্রীর এহেন টুইট পোস্ট দেখেই সচেতন হয়ে উঠেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। বুধবার জ্যোতিরাদিত্যকে ‘নীতিহীন’, ‘মানুষের বিশ্বাসভঙ্গকারী’ হিসেবে তিরস্কার করলেও, বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ টুইট করে বিষয়টাকে লঘু করার চেষ্টা করেছেন গেহলট। এদিন টুইটারে তিনি সিন্ধিয়ার নাম না করে লিখেছেন, ‘যত দ্রুত এই সব সুবিধাবাদীরা দল থেকে বেরোয় ততই দলে মঙ্গল। কংগ্রেস দল এত কিছু দিয়েছিল। গত ১৭–১৮ বছর ধরে দলের বিভিন্ন পদে রেখেছিল। সাসংদ এবং কেন্দ্রীয়মন্ত্রী করেছিল। তা সত্ত্বেও যা বেরিয়ে এল তা একজন সুবিধাবাদী চরিত্র। জনগণ ক্ষমা করবে না।’