মোদী জমানা যেন কার্যত হিটলারের জমানা। তাঁর অপছন্দ মত কিছু করা যাবে না এমনকি কিছু বলাও যাবে না। করা যাবে না তার কোনও কাজের সমালোচনা। মোদী জমানায় সেই স্পর্ধাই দেখিয়েছিলেন এক প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী। আর তার ফলস্বরুপ তিনি পেলেন হুমকি চিঠি।
প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী তথা আসামের বিশিষ্ট সমাজসেবিকা মীরা বরঠাকুর। তিনি সিএএ-র তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। আর সেই কারণেই তাকে হুমকি চিঠি দেওয়া হল।
মীরা বরঠাকুরকে বেনামি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বন্ধ করুন ভাষণবাজি। মোদীকে কিছু লিখলে উচিত শাস্তি পাবেন।’
হাতিগাঁও থানায় এফআইআর করেছেন মীরা। জানিয়েছেন, সিএএ বিরোধিতা থেকে পিছু হঠবেন না তিনি। ধর্মের নামে নাগরিকত্ব মানতে নারাজ প্রাক্তন এই বিজেপি নেত্রী। উল্লেখ্য, অসমে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ।
পাশের রাজ্য মেঘালয়ও ক্যা–বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল। আর তাই অন্ধকার নেমে এসেছে দুই রাজ্যেরই পর্যটন ব্যবসায়।
আমেরিকা, কানাডা, ইজরায়েল, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশ তাঁদের পর্যটকদের উত্তর–পূর্ব ভারত সফরে সতর্কবার্তা জারি করেছে। এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কবলে পর্যটন ব্যবসা লাটে উঠতে বসেছে। এবার সিএএ-অশান্তি আরও বিপাকে ফেলেছে শিলং-সহ গোটা উত্তর–পূর্বাঞ্চলের পর্যটন শিল্পকে। এটাই পর্যটনের সেরা সময় হলেও, ফাঁকা শিলং। গুয়াহাটিতেও পর্যটক নেই বললেই চলে।