টানটান ম্যাচ। যেখানে একদম শেষ মিনিট অবধি লড়াই চলল দুই দলের। আর সেই ম্যাচই ১ গোলে জিতে ডার্বির আগেই আইলিগ জিতে নিলো মোহনবাগান। হোলির দিনই সবুজ-মেরুন রঙে চেয়ে গেল কল্যাণী স্টেডিয়াম। জাতীয় লিগ ও আইলিগ যোগ করলে মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হল এই নিয়ে পাঁচবার। ফলে ছুঁয়ে ফেলল ডেম্পোর রেকর্ডও।
কার্ড সমস্যায় এদিন ফ্রান মোরান্তে না থাকায় ড্যানিয়েল সাইরাসকে ফ্রান গঞ্জালেজের সঙ্গে ডিফেন্সে জুড়ে দিয়েছিলেন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা। অন্যদিকে স্ট্রাইকারে শুরু থেকেই ছিল তুরসুনভ। আরেকদিকে বাগানের স্ট্রাইকার পাপা বাবাকার দিওয়ারাকে আটকাতে জোড়া মার্কার হিসেবে আদজেই ও কাসাগাকে রেখেছিলেন আইজলের কোচ স্ট্যানলি রোজারিও। সেইসঙ্গে মাঝমাঠে বেইতিয়াদের খেলা নষ্ট করার দায়িত্ব ছিল অধিনায়ক আলফ্রেড জারিয়ানের উপর।
খেলার শুরু থেকেই নিজেদের চেনা ছন্দে খেলা শুরু করেছিল মোহনবাগান। ছোট ছোট পাসে নিজেদের মধ্যে বল রেখে আক্রমণে উঠছিলেন বেইতিয়া, শেখ সাহিলরা। অন্যদিকে বেশ কিছু ম্যাচ পরে একসঙ্গে খেললেন আশুতোষ মেহতা ও ধনচন্দ্র সিং। ফলে বারবার উইং থেকে ক্রস ভেসে আসছিল। কিন্তু আইজলের রক্ষণ আজ এতটাই জমাট ছিল যে ফাঁক তৈরি হচ্ছিল না। বাবাকে ক্রমাগত চাপে রাখছিলেন দুই বিদেশি স্টপার। সেইসঙ্গে বেইতিয়া, নংদম্বা নওরেমদের থ্রু ভাল অ্যান্টিসিপেট করছিল আইজল ডিফেন্স।
তারমধ্যেই বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করে মোহনবাগান। কিন্তু গোল আসেনি। অন্যদিকে মাঝেমধ্যেই কাউন্টার থেকে আক্রমণ তুলে আনছিল আইজল। কিন্তু সাইরাস ফেরায় বাগান ডিফেন্সও এদিন জমাট ছিল। তার মধ্যেই একটা ভাল সেভ করতে হয় শঙ্কর রায়কে। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ফলেই ড্রেসিংরুমে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার পরই গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাগান। ৫৪ মিনিটের মাথায় বাবার গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। তার পরের মিনিটেই আইজলের আক্রমণে মোহনবাগান ডিফেন্সে চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু কোনও রকমে সেই গোল আটকায় বাগান ডিফেন্সও।
এদিন বাগান মাঝমাঠের প্রধান স্তম্ভ জোসেবা বেইতিয়াকেও কড়া নজরে রেখেছিলেন আইজল ফুটবলাররা। নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছিলেন না বেইতিয়া। ফলে গোলের সুযোগ তৈরি কম হচ্ছিল। আক্রমণে চাপ বাড়াতে সুহেরকে তুলে শুভ ঘোষকে নামান কিবু। একের পর এক আক্রমণ ভেসে আসছিল আইজল বক্সে। কিন্তু গোলটা আসছিল না।
তারপরই ৭৯ মিনিটে বেইতিয়ার অনবদ্য থ্রু থেকে দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে বহু প্রতীক্ষিত গোল করেন মোহন জনতার নয়নের মণি পাপা বাবাকার দিওয়ারা। বাকি ১০ মিনিটে দুই দলই আরও কয়েকবার গোলের সুযোগ পেলেও আর গোল আসেনি। শেষ অবধি বাবার গোলেই আইজল ম্যাচ এবং ৪ ম্যাচ বাকি থাকতেই ডার্বির আগে লিগ জয় করে মোহনবাগান।