জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজের পদত্যাগপত্র সোনিয়া গান্ধীকে পাঠাতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৯ জন বিধায়কও মঙ্গলবার কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন। ওই ১৯ জনের মধ্যে ছয়জন রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁরা নিজেদের পদত্যাগপত্র সোনিয়া গান্ধীকে দিয়েছেন। বিধায়ক পদ থেকেও পদত্যাগ করতে চেয়ে বিধানসভার স্পিকার এবং রাজভবনে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছে তাঁরা। ওই ১৯ জন বিধায়কই বেঙ্গালুরুর একটি রিসর্টে আছেন।
জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠ ১৭ জন বিধায়ককে দুটি চার্টার্ড বিমানে বিজেপিশাসিত কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়। কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েই বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহানের উপস্থিতিতে এদিন দুপুরে বিজেপিতে যোগ দেন দুই বিধায়ক। এব্যাপারে শিবরাজ বলেন, কংগ্রেসের দুমুখো নীতির ফলেই এই ঘটনা।
১৯ জন বিধায়কের পদত্যাগ কর্নাটকের মতোই এবার ফেলে দিতে পারে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারও ।
কারণ ২৩০ আসনের বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার ১১৬। কংগ্রেসের ছিল ১২০ বিধায়ক। বিজেপির আছে ১০৭ জন বিধায়ক। কংগ্রেস বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা নেমে আসবে ৯৭ জনে। এর মধ্যে যদি কংগ্রেস প্রয়োজনীয় বিধায়ক না জোগাড় করতে পারে তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গড়ার সুযোগ বিজেপির পক্ষেই বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ঘটনার পরেই কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, ‘সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’ তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ছাড়ার জন্য প্রত্যেক বিধায়ককে ৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অফার করা হয়েছে।