যত বিতর্কই হোক না কেন, নাম-ঠিকানা সহ সিএএ বিরোধীদের পোস্টার সরাতে নারাজ যোগী আদিত্যনাথ। গতকাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই বিতর্কিত পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সেই নির্দেশ মানবেন না তিনি। হাইকোর্টে আদেশকে অগ্রাহ্য করেই উচ্চতর জায়গায় আপিল করবেন তিনি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁর আইনজীবীদের বলেছেন হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি পিটিশন দায়ের করতে। সোমবারই যা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাস্তার ধারে সিএএ বিরোধীদের ছবি-সহ পোস্টার অবিলম্বে সরাতে হবে। এটা মানুষের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে বলে জানিয়েছিল আদালত।
এই প্রসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের মিডিয়া উপদেষ্টা মণি ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ‘আমরা আদালতের নির্দেশ খতিয়ে দেখছি। সরকারকে দেখতে হবে বিকল্প কী কী পথ নেওয়া যায়। আমাদের দেখতে হবে কিসের ভিত্তিতে পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ আদালত দিয়েছে। এই নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীই নেবেন। তবে যাই হোক না কেন, যারা রাষ্ট্রের সম্পত্তি ধ্বংস করেছে তাদের কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না। দাঙ্গাবাজদের পোস্টার সরিয়ে নেওয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে যা মামলা রয়েছে তা চালানো হবে’ বলে জানিয়েছেন যোগীর উপদেষ্টা। আদালতের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য হলেও অন্যান্য বিকল্প খতিয়ে দেখতে চাইছেন যোগী আদিত্যনাথ।
সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সরকারি সম্পত্তি যাঁরা নষ্ট করেছে তাদের কাছেই ক্ষতিপূরণ আদায় করছে উত্তর প্রদেশ সরকার। তার জন্য অভিযুক্তদের নামে পোস্টার তৈরি করে লক্ষৌয়ের রাস্তায় দিয়েছিল যোগী সরকার। তাই নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করা হয়। সেই মামলার জরুরি শুনানিতে তা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সিএএ বিরোধী আন্দোল ঘিরে হিংসা ছড়িয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। ২০ জনেরও বেশি মানুষ সেই হিংসায় নিহত হন। হিংসায় অভিযুক্ত ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরকারিদের থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিজেপির রাজ্য সরকার। সেই ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যেই গত বৃহস্পতিবার ৫৩ জন প্রতিবাদীর নাম, ঠিকানা-সহ লক্ষৌয়ের রাস্তার পোস্টার দেয় উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।