কয়েকদিন আগেই উত্তপ্ত হয়েছিল দিল্লী। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল একের পর এক বাড়ি, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল বহু গাড়ি। এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হলেও মানুষ ভুলে যায়নি সেই অগ্নিগর্ভ দিনগুলোর কথা। তাই এই বছর দোলের উত্তেজনা প্রায় নেই বললেই চলে দিল্লীতে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে চলল রঙের উৎসব উদযাপন।
তবে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মৌজপুর, গোকুলপুরী, যমুনা বিহার সহ সম্পূর্ণ উত্তরপূর্ব দিল্লীজুড়েই ভারী সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী। তাদের কড়া নজরদারিতেই তুলনামূলক কম হলেও হোলির আনন্দ যেন হাল্কা করে ছুঁয়ে গিয়েছে উত্তরপূর্ব দিল্লীকে।
গত মাসে হিংসাদীর্ণ উত্তরপূর্ব দিল্লীর থমথমে আবহাওয়ার মধ্যেই একঝলক ঠান্ডা হাওয়া নিয়ে এসেছে এবারে রহোলি। সংখ্যায় অল্প হলেও রং নিয়ে বসেছেন কয়েকজন বিক্রেতা। বিক্রিবাটাও হচ্ছে অল্পস্বল্প। পাঞ্জাবের অমৃতসরই হোক বা গুজরাটের আহমেদাবাদের কৃষ্ণ মন্দির, নাচে, গানে হোলি খেলায় মত্ত নারী–পুরুষ নির্বিশেষে সবাই। রাজস্থানের যোধপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে নাচ–গানের সঙ্গেই হোলির রং খেলায় মাতলেন বিদেশি পর্যটকরা।