বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল যে, জরুরিকালীন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা, উচ্চশিক্ষা, বিয়ে ও কিছু বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া এবার থেকে আর ৫০ হাজার টাকার বেশি তোলা যাবে না ইয়েস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে। আর তারপরই ব্যাঙ্কের ভবিষ্যৎ ঘিরে অনিশ্চয়তার জেরে ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম পড়ে যায় ৮৫ শতাংশ। এই মুহূর্তে ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এমডি এবং সিইও রানা কাপুর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের মামলা চলছে। আর এই পরিস্থিতিতেই সূত্রের খবর বলছে দেশের প্রথম সারির ব্যাবসায়িক গোষ্ঠীর প্রায় ৪৪টি সংস্থা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৩৪ হাজার কোটির ঋণ নিয়ে তা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
৪৪টি সংস্থার মধ্যে অনিল আম্বানীর অন্তত ৯টি সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থাগুলির অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সুভাষ চন্দ্রের এসেল গোষ্ঠীর কারণে ইয়েস বাঙ্কের এনপিএ-র পরিমাণ ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। দেওয়ান হাউজিং ফিনান্স কর্পোরেশন এবং বিলিফ রিয়েল্টর প্রাইভেট লিমিটেড গোষ্ঠী ইয়েস ব্যাঙ্কের থেকে ৪৭৩৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। শোনা যায় জেট এয়ারওয়েজকেও ১,১০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। এ ছাড়া ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে বড় অংকের ঋণ নেওয়া সংস্থাগুলোর মধ্যে কক্স অ্যান্ড কিংস, গো ট্র্যাভেলস, ভারত ইনফ্রা, এভারেডি, বিএম খৈতান অন্যতম।
প্রসঙ্গত, ইয়েস ব্যাঙ্কেরর ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনতে চলেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই। শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার। চেয়ারম্যানের ঘোষণা সমস্যা জর্জরিত ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার কিনতে এসবিআইয়ের ব্যায় হবে ২, ৪৫০ কোটি টাকা। এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার জানিয়েছেন যে, ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার কেনার বিষয়ে সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বিস্তারিত জানানো হবে। স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান জানিয়ে দিয়েছেন, ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। প্রত্যেকের আমানত সুরক্ষিত রয়েছে।