শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব এবার বন্ধ থাকলেও বাঁকুড়ার মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে সেই ধারা অব্যাহত। সোমবার সকাল থেকেই শহরের পোড়ামাটির হাটে রঙের উৎসবে অংশ নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরা, মহকুমাশাসক মানস মণ্ডল থেকে অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ। মন্ত্রী কিম্বা মহকুমাশাসক প্রত্যেকেই যেন কিছুক্ষণের জন্য বয়স ও পদমর্যাদা দূরে সরিয়ে তারা প্রত্যেকেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে তার খুব ভালো লাগছে বলে তিনি জানান। মামাবাড়িতে বেড়াতে আসা সম্পূর্ণা মণ্ডলের কথায়, অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল দোলের দিন এখানে উপস্থিত হওয়া। সুযোগ হয়ে ওঠেনি। এবার সেই সুযোগ হয়েছে। বিষ্ণুপুর শহর পুরো রঙ্গিন হয়ে উঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সারাটা দিন আজ পোড়ামাটির হাটেই কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ম হকুমাশাসক মানস মণ্ডল বলেন, বিষ্ণুপুর শহরকে এখানে তুলে আনা হয়েছে। প্রত্যেকেই ভেদাভেদ ভুলে বছরে অন্তত একটা দিন আনন্দে উৎসবে মেতে ওঠার উদ্দেশ্যেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন বলে তিনি জানান।
ছোটো, বড় সকলেই পোড়ামাটির হাটে পরস্পরকে রং মাখানোর খেলায় মেতে উঠলেন। সঙ্গে চললো দেদার নাচ আর গান। সবমিলিয়ে বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে রঙের উৎসবের দিনে একটা অন্যরকম ভালো লাগার দিন কাটানোর সুযোগ পেলেন সংশ্লিষ্ট সকলেই। রঙের উৎসবে উপস্থিত হওয়া কথাকলী হাজরা সিনহা বলেন, দীর্ঘদিন রবীন্দ্র ভারতী আর শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের বিষ্ণুপুরেও ঐ ধরণের একটা পরিবেশ পেতে পারি ভাবনার মধ্যে ছিলনা।