এতবছরে এই প্রথমবার ভাঙল পুরোনো প্রথা। এত বছরের অভ্যাস, যা এবারেই অনভ্যাসে পরিণত হল। আজ রাজ্যজুড়ে পালিত হলেও দোল পালন হল না বিশ্বভারতীতে। যা এখানে দোল নয়, বসন্ত উৎসব।
সেই কবিগুরু কবে চালু করেছিলেন, তারপর থেকে বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব ছিল বিশ্বের কাছে সর্বজনীন। সারা বিশ্ব থেকেই মানুষ আসতেন এই উৎসব চাক্ষুষ করার জন্য। কিন্তু এক করোনাই শেষ করে দিল শতবর্ষের ঐতিহ্য। যার কারণে দোলের সকালে মনখারাপ আমবাঙালির।
দোল বা বসন্ত উৎসবের সকাল মানেই প্রভাতফেরী। একযোগে ‘বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’ কিংবা ‘আজি দখিন দুয়ার খোলা’। হলুদ শাড়ি ও পলাশ ফুলের যুগলবন্দী, প্রেমের মূর্চ্ছনা-এইসবই এসেছে কবিগুরুর হাত ধরেই। দোল মানে শুধু যে রঙের উৎসবই নয়, তা বাঙালির জীবনে অন্যকিছু, তা আমরা জেনেছি বসন্ত উৎসব থেকেই। এর আঁতুড়ঘর যে বিশ্বভারতী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাই এবার গোটা বাংলা সহ বিশ্বভারতীর যে মন খারাপ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।