সারা বিশ্বজুড়ে মারণ থাবা বসাচ্ছে করোনা। কেরালায় আরও একটি করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর মিলল আজ সোমবার। এবার আক্রান্ত হয়েছে তিন বছরের এক শিশু। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৩ বছর বয়সি এক মহিলার শরীরেও পাওয়া গেল ওই মারণ ভাইরাস। ভূস্বর্গে এই প্রথম নিশ্চিত হল করোনাভাইরাস। এই নিয়ে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৪০।
ইতালিফেরত কেরালাএ যে পরিবারটিকে পৃথক করে রাখা হয়েছিল রবিবার, সেই পরিবারেরই তিন বছরের শরীরে ভাইরাস মেলায় দেশে এখন কনভিড–১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০ জন। সোমবার একথা জানিয়েছে কেরলের স্বাস্থ্য দফতর।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবারও যেখানে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল মাত্র ছয়জন, সেখানে সোমবারের মধ্যে সেটা ৪০ জনে পৌঁছে যাওয়ার অন্যতম কারণ ইতালির ১৬ জন পর্যটক। এই ৪০ জনের মধ্যে গত মাসে কেরালার তিন আক্রান্তও রয়েছেন, যাঁরা এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন।
এই ঘটনার পরে কেরালায় আরও বেড়েছে করোনা-আতঙ্ক। কাল, রবিবারই কেরালায় একই পরিবারের ৫ জনের শরীরে করোনোভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মেলে। জানা যায়, করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ জন সম্প্রতি ইতালি থেকে এদেশে ফিরলেও তাঁরা বিমানবন্দরে সেই কথা জানাননি। তাই বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত স্ক্রিনিংও করা হয়নি তাঁদের। তাঁরাই বয়ে নিয়ে এসেছেন এই মারণভাইরাস।
কেরালার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, এই ধরনের বিমানযাত্রার ইতিহাস বা করোনার উপসর্গ যদি কেউ গোপন করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
ইরানফেরত লাদাখের যে ৭৬ বছরের বৃদ্ধ শনিবার রাতে মারা গিয়েছেন, তিনি কনভিড–১৯–এই মারা গিয়েছেন কিনা সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রক্তের নমুনা পরীক্ষার পরই এব্যাপারে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কনভিড–১৯ মোকাবিলায় দেশ যথেষ্ট তৎপর এবং ৫২টা ল্যাব এর পরীক্ষার জন্যই খোলা হয়েছে বলে রবিবারই জানিয়েছিল মন্ত্রক। ওই ল্যাবগুলির সহায়তায় আরও ৫৭টা ল্যাবকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রবিবার দুপুরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানান, যেন তিনি করোনাআক্রান্ত দেশে যাতায়াতে আপাতত স্থগিতাদেশ দেন।