বাংলায় এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের কোনও খবর নেই। তবুও এই ভাইরাসের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে সৌদি ফেরত এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সে ক্ষেত্রেও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আক্রান্তের কোনও খবর না থাকলেও, প্রাণঘাতী ভাইরাসের মোকাবিলায় কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না বলে দাবি রাজ্য সরকারের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রয়েছে। শহর থেকে গ্রাম, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি হাসপাতালে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’ তৈরি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি এ রাজ্যে স্থল সীমান্তের সাতটি চেক পোস্ট, কলকাতার তিনটি জলবন্দর এবং কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষাও করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এসএসকেএম, নীলরতন সরকার হাসপাতাল, আরজিকর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ-সহ জেলার ২৩টি হাসপাতালে আইসোলেশনের সুবিধাযুক্ত মোট ১৬৩টি শয্যা তৈরি রাখা হয়েছে। যাতে, যে কোনও পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করা যায়। এ বিষয়ে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ মেনে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করতে বলা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত করোনা সন্দেহে ১৮০৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে পরীক্ষার পর আপাতত ১৬০ জন নজরদারির আওতার বাইরে রয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪০ জন ভর্তি রয়েছেন আইসোলেশন ওয়ার্ডে। বাকি ১৬৪৩ জন ‘হোম আইসোলেশন’-এ রয়েছেন। কাউকে করোনা সন্দেহে চিহ্নিত করা হলে, নমুনা পরীক্ষার জন্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি) পুণে এবং আইসিএমআর-এনআইসিইড(নাইসেড) কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৩৬টি নুমনার রিপোর্ট হাতে এলেও, এ রাজ্যে কারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।