টাকা তছরুপের অভিযোগে রানা কাপুরের তদন্ত চালাচ্ছে ইডি এবং সিবিআই। ৬২ বছরের রানা কাপুরকে রবিবার আদালতে হাজির করানো হলে তিনি ভেঙে পড়েন। ইডির আইনজীবী সুনীল গনজালভেস বলেন, ইয়েস ব্যাঙ্কে মোট ৪৩০০ কোটি টাকার কেলেংকারি হয়েছে। এব্যাপারে রানা কাপুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সহযোগিতা করেননি। তখনই ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমি তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁরা আমাকে এক মুহূর্ত ঘুমোতে দেননি।
ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর রানা কাপুর আগামী বুধবার অবধি এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেটের হেপাজতে থাকবেন। গত রবিবার মুম্বইয়ের এক আদালত এমনই নির্দেশ দিয়েছে। ইডির কৌঁসুলি আদালতে অভিযোগ করেন, তিনি তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। অন্যদিকে রানা কাপুর বলেন, তিনি দিবারাত্র সহযোগিতা করেছেন। যদিও তাঁকে ওই সময়ের মধ্যে একটুও ঘুমোতে দেওয়া হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ইডি তাঁকে বলির পাঁঠা বানাচ্ছে।
ইডি সূত্রের খবর, ইয়েস ব্যাঙ্ক ভরাডুবি কাণ্ডের অঙ্ক খুব সরল নয়। তাই এই নিয়ে তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই আগে থেকে সতর্ক ছিলেন ইডির তদন্তকারীরা। তাঁদের আন্দাজ ছিল, পরিস্থিতি খারাপ বুঝলে যে কোনও সময়ে দেশ ছাড়তে পারেন রানা কাপুর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাই তদন্তে নেমে, জেরার মুখে রানা কাপুরের দুর্নীতির ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পরেই রানা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম লুকআউট নোটিস জারি করা হয়।
এই নোটিসের ভিত্তিতে রবিবার মুম্বই বিমানবন্দরে আটক করা হয় রানার মেয়ে রোশনি কাপুরকে। বর্তমানে তাঁকে জেরা করে লন্ডন যাত্রার কারণ খোঁজার চেষ্টা চলছে।