কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ-এনআরসির মত বিভাজন নীতিতে দেশ জুড়ে নষ্ট হতে বসেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। শুরু হয়েছে ধর্মে ধর্মে বিভেদ। গেরুয়া বাহিনী এবার থাবা বসাতে চাইছে বাংলায়। আর তাই রাজ্যের নিজস্ব সংস্কৃতি, গরিমাকে ঠিক রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আদর্শকে সামনে রেখে দল রাজ্যের সম্প্রীতি, সৌভ্রাতৃত্বকে তুলে ধরার জন্য স্লোগান তুলেছে ‘বাংলার গর্ব মমতা’। রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মানুষকে যুক্ত করাই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সূচনা হল ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির।
গতকাল, আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে এই কর্মসূচির সূচনা করলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক। শহরের কল্যাণপুর হাউজিংয়ের শুভম ম্যারেজ হলে দলের কর্মী, কাউন্সিলর ও স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে দলের কর্মসূচি বুঝিয়ে দেন তিনি। কর্মীদের নিজের নিজের এলাকায় কাজ করতে কী অসুবিধা হচ্ছে, মানুষের কাছে কতটা পৌঁছানো গিয়েছে কিংবা কতটাই বা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরা গিয়েছে, সে সম্পর্কেও খোঁজ নেন মলয়।
বৈঠকের পরে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ৭৫ দিনের একটা কর্মসূচি নিয়েছেন। বিভিন্ন পর্যায়ে এই প্রচার অভিযান চলছে।’ মলয় জানান, বিভিন্ন ধাপে ধাপে এই প্রচারের কাজ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন নেত্রী। গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি এলাকার বিশিষ্টজনদের পরামর্শ নিয়েও কাজ করা হবে।
অন্যদিকে, কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন কালনা ও কাটোয়া দুই মহকুমার তৃণমূল নেতৃত্ব। কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী ১নং ব্লকে বৈঠকের মূল বক্তা ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। আর কাটোয়া শহরের সংহতি মঞ্চের সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি। দুজনেই ভিড়ে ঠাসা কর্মিসভায় মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে রাজ্যে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য কী কী সরকারি প্রকল্প চালু হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণের পাশাপাশি কর্মীদের পরামর্শ দেন, উন্নয়নের পরিসংখ্যান ও প্রকল্পগুলি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে মানুষের বাড়ি বাড়ি যান। সেইসঙ্গে সমস্যা জেনে সমাধানেরও চেষ্টা করতে বলেন।