ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে রানা কাপুরের বিরুদ্ধে। রুজু হয়েছে মামলাও। এমনকি ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুর এবং অন্যান্য প্রাক্তন ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস।
ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে শীর্ষ কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এরপরই রানা কাপুরের মুম্বইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান ইডি কর্তারা। যদিও রানা কাপুরের দাবি, গত ১৩ মাস ধরে ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। তাই এসব ঘটনার বিন্দুবিসর্গও জানেন না তিনি। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি সংস্থাকে তাঁর ইয়েস ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দেন রানা কাপুর।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জারি হওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানা গিয়েছে, ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই নয়া নির্দেশ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ওই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, ইয়েস ব্যাঙ্কের কাজকর্মের সূচনা এবং কাজ চালিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। তবে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা ঘোষিত হলেও, চিকিৎসা, উচ্চশিক্ষা, বিয়ে– এই ধরনের কোনও বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে বেশি টাকার প্রয়োজন হলে তা তোলা যাবে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।