সাংবাদিক বৈঠক করে শনিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, শোভনের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পূর্বে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ প্রচার কর্মসূচির পুরো দায়িত্ব দেওয়া হল রত্না চট্টোপাধ্যায়কে।
শোভন শুধু বিধায়ক নন। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও। ফলে পুর ভোটের আগে রত্নাকে একটা গোটা বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব দেওয়ায় অনেকেই মনে করছেন, ১৩১-এ হয়তো রত্নাকেই প্রার্থী করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রত্না বলেন, ‘দল যা দায়িত্ব দিয়েছে অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে এই কেন্দ্রে তৃণমূলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।’
শোভন-তৃণমূল দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর থেকেই বেহালার রাজনীতিতে সামনের সারিতে চলে আসেন প্রাক্তন মেয়রের ধর্মপত্নী। পর্ণশ্রী কলেজের গণ্ডগোল হোক বা নাগরিক সমস্যা–সবেতেই দেখা যায় রত্না নেতৃত্বে। কলকাতার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে মমতা স্বয়ং বলেছিলেন, ‘পার্থদা, আপনি রত্নাকে দিয়ে কাজ করান। ওকে দায়িত্ব দিন।’ সেই মতো এদিন বড় দায়িত্ব দেওয়া হল রত্নাকে।
অনেকের মতে, বিজেপিতে গিয়ে হালে পানি পাচ্ছেন না শোভন। সম্প্রতি পদ্মফুলের ছবি সম্বলিত কিছু হোর্ডিংয়ে তাঁকে মেয়র পদে ফেরানোর দাবি উঠলেও তা নিয়ে বিশেষ নাড়াচাড়া হয়নি। পর্যবেক্ষকদের মতে, বেহালার মাটিতে রত্নাকে দায়িত্ব দিয়ে তৃণমূল আসলে বার্তা দিল শোভনকেই।