রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তোৎসবকে ঘিরে চলছে তুমুল বিতর্ক। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চার যুবতী নিজেদের পিঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানের লাইনকে বিকৃত ভাবে আবির দিয়ে লিখে ছবি তোলে, যা নিমেষে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গানের সেই লাইনটি শুরু হচ্ছে একটি অত্যন্ত অশালীন শব্দ দিয়ে, সেই ছবিটি দেখে নিন্দায় ফেটে পড়েছেন সকলে। যখন সকলে প্রতিবাদ করছেন, ঠিক সেই সময়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরে নিজের মত পোষণ করলেন গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী। তিনি বললেন, “ওরা ভুল করেছে কিন্তু কোনও অপরাধ করেনি”।
নিজের মত জানাতে গিয়ে নচিকেতা বলছেন, “বছর তিনেক আগে একটা গান লিখেছিলাম। ‘এমন কিছু অনুভূতি যাদের গতিপ্রকৃতি না না ফেসবুকে শেয়ার করা যায় না…’— রবীন্দ্রভারতীর এই ছবি বিতর্কে সেটাই বার বার মনে পড়ছে। আরে এই বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো নিজেদের আনন্দানুভূতির জায়গা থেকে একটা কাজ করেছে। পিঠে আবির দিয়ে কিছু শব্দ লিখেছে। আমার প্রথম প্রশ্ন, সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার কী আছে? সব কিছু কি শেয়ার করা যায়! ওই বাচ্চাগুলো ভুল করেছে। কিন্তু আমরা সকলে ভুলে যাচ্ছি, ওরা কোনও অপরাধ করেনি।এটাকে এমন ভাবে ইস্যু তৈরি করার কোনও মানে নেই”।
ওই অত্যন্ত অশালীন শব্দটির ব্যবহার নিয়েও মুখ খুলেছেন নচিকেতা। গায়ক বলছেন, “দেখুন, ওরা কিন্তু এই শব্দগুলো কারও সামনে বলেনি। বলেছে নিজেদের বন্ধুদের পরিসরে। লিখে ছবি তুলেছে, সেটাও বন্ধুদের পরিসরে। আপনার বাড়ির ঝুল বারান্দার নীচে এসে কিছু করেনি। আমরাও তো বন্ধুদের পরিসরে কত কিছুই বলি। গালাগাল দিই না? অশালীন শব্দ উচ্চারণ করি না? অহরহ করছি। হ্যাঁ, করছি। সেটা ওই বন্ধুদের পরিসরেই। ফেসবুক বা হোয়াটস্অ্যাপে আমি নেই। কিন্তু বন্ধুদের কাছে, এমনকি আমার তরুণী মেয়ের কাছেও তো শুনি, সেখানে কী কী সব শব্দ-বাক্য ব্যবহার হয়। আপনি বললে দোষ নেই, বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো বন্ধুদের পরিসরে সেই কথাগুলো বললে বা লিখলে গেল গেল রব তোলার কী হল”!