এবারের দোলের ছুটিটা অসাধারণ। ভ্রমনপিপাসু বাঙালি ছুঁতো খুঁজে বেড়ায় রোজকার জীবন থেকে একটু অন্যরকম ভাবে বাঁচতে। তাই এই তিনদিনের ছুটিতে ঘুরে আসাই যায় হেনরি আইল্যান্ড। রঙ, আওয়াজ ছেড়ে একা সময় কাটানোর জন্য একদম খাসা জায়গা এই আইল্যান্ড।
কলকাতা থেকে বেশি দূরেও নয় হেনরি আইল্যান্ড। নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরিয়েই পৌঁছে যাওয়া যায় এখানে। হেনরি আইল্যান্ডে আপনি পাবেন ঝাউ আর ম্যানগ্রোভ অরণ্যের পাশাপাশি বিশাল সমুদ্র তটের অপরূপ মিশেল। সপ্তাহন্তে ছুটি কাটাতে ঘুরে আসুন কোলাহল মুক্ত, শান্ত, নির্জন পরিবেশে ঘেরা হেনরি আইল্যান্ড থেকে।
সবুজের সমাহার। এখানে প্রকৃতি নিজের মতো করে সেজেছে। এখানে রয়েছে নানা শেডের ম্যানগ্রোভ অরণ্য। যে দিকে চোখ যাবে, সে দিকেই দেখতে পাবেন হেতাল, সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া’র অফুরন্ত সম্ভার। এ ছাড়াও রয়েছে বঙ্গোপসাগরের সুবিশাল বিস্তার। ইচ্ছা আর যদি হাতে সময় থাকে, তাহলে নীল-সবুজের রাজত্ব ছাড়িয়ে আপনি চলে যেতেই পারেন বালুকারাশি দিয়ে ঘেরা নির্জন দ্বীপে।
কিভাবে যাবেন :
লং ড্রাইভে যেতেই পারেন হেনরি আইল্যান্ড। এ ছাড়া ধর্মতলা থেকে প্রতিদিনই বাস ছাড়ে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী যাওয়ার। নদী পেরিয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে কিংবা বকখালি থেকে ট্রেকারে পৌঁছে যাবেন হেনরি আইল্যান্ড।
চাইলে ট্রেনে শিয়ালদহ থেকে পৌঁছাতে পারেন নামখানা। নামখানা থেকেই ট্রেকারে পৌঁছে যেতে পারেন হেনরি আইল্যান্ড। তবে হেনরি আইল্যান্ডে রাত কাটানোর তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই আপনি থাকতে চাইলে আপনাকে থাকতে হবে বকখালিতেই। খরচ একেবারে নাগালের মধ্যেই। মাথাপিছু ২,০০০ টাকায় একদিনের ঘুরে আসতে পারেন হেনরি আইল্যান্ড।