ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের সুপরিচিত অভিনেত্রী। মাত্র ১৪ বছর বয়সে অভিনয় জীবন শুরুর পর বলিউডে প্রায় একটানা দীর্ঘ ৩০ বছর কাজ করে ৩০০রও বেশি সিনেমা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের রামপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হওয়াই কাল হল অভিনেত্রী জয়া প্রদার। লোকসভা নির্বাচনের সময় ৫৭ বছর বয়সী জয়া প্রদার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এবার সেই আইন লঙ্ঘনের জন্য জয়া প্রদার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এমনকী জেলেও যেতে হতে পারে অভিনেত্রীকে। মামলার শুনানি হবে আগামী ২০ এপ্রিল।
প্রসঙ্গত, বলিউডে কেরিয়ারে ভাটার টান আসার পরেই জয়াপ্রদা রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন টি রামরাওয়ের আহ্বানে তিনি তেলুগু দেশম পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তেলুগু দেশমের প্রার্থী হিসাবে তিনি রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। পরে রামরাওয়ের উত্তরসুরী চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ ঘটে। তিনি তেলুগু দেশম ছেড়ে যোগ দেন সমাজবাদী পার্টিতে। এরপর ২০০৪ সালে সমাজবাদী পার্টির হয়ে তিনি রামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেবার তিনি ৮৫ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে মহিলাদের মধ্যে বিন্দি বিলি করার অভিযোগ ওঠে। সেবারের ভোটেও তিনি ৩০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন।
২০১০ সালে দলবিরোধী কার্যকলাপের দায়ে সমাজবাদী পার্টি তাঁকে বহিষ্কার করে। সমাজবাদী পার্টির অপর প্রাক্তন নেতা অমর সিং-এর সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চ নামে একটি দল তৈরি করেন। ২০১৪ সালে অমর সিং-এর সঙ্গে তিনি যোগ দেন রাষ্ট্রীয় লোক দলে। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ অভিনেত্রী যোগ দেন বিজেপিতে। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির আজম খান তাঁকে এক লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেন। জানা গিয়েছে, জয়াপ্রদার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ এপ্রিল। রামপুর আদালত থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।