নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভা ভোটের পুরো খরচ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বিধানসভা ভোটের খরচ দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। পঞ্চায়েত ভোটের খরচ দেয় পঞ্চায়েত দফতর। আর পুরভোটের খরচ দিতে হয় পুর দফতরকে। নির্বাচন কমিশনের চিঠির মধ্যে শুরু হয়ে গেল সেই টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া। পুরভোটের জন্য খরচ হবে ১৭৫ কোটি টাকা। পুর দফতরকে চিঠি দিয়ে এই হিসেব জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
পুর দফতর এখন এই টাকা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠাবে। তারপর কমিশন থেকে তা জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। সব মিলিয়ে দোল মিটে গেলে ভোটের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে। অপেক্ষা এখন শুধু দিন ঘোষণার।
দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট ইলেকশন কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৪-র ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। রাজ্য সরকার দিনক্ষণ স্থির করে, তা জানিয়ে চিঠি দেওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারির ২৫ থেকে ২৮ দিন পর যেকোনও দিন ভোট করা যেতে পারে। সেই হিসেব অনুযায়ী ১২ এপ্রিল থেকে ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে পুর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই ভোটের প্রস্তুতি পুরদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসকদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। প্রশাসনের তরফে মুখ্যসচিবও জেলাশাসকদেরকে পুলিস সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন। এখন ব্যালটে হোক বা ইভিএম-এ, ভোটের জন্য বহু জিনিসপত্রের প্রয়োজন। যা ভোটের কাজে লাগবে। সেইজন্যই এই টাকা প্রয়োজন।