নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ স্বাস্থ্য অধিকর্তা, জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। দেশের অন্যান্য রাজ্যে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তার জেরে আগাম সতর্কতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী গোটা পরিস্থিতি বুঝে নিতে চাইছেন বলে খবর।
চিনের ইউহান থেকে পৃথিবীর অন্তত ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ নোভেল করোনা ভাইরাস। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এশিয়ার অন্যান্য দেশ ছাড়িয়ে ভারতেও প্রবেশ করেছে মারণ জীবাণু। কেরল, দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৩০। কলকাতা বিমানবন্দর, খিদিরপুর বন্দরে বিদেশ ফেরত সমস্ত যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং হয়েছে। করোনা আক্রান্ত নন, তা নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁদের ছাড়া হয়েছে। এছাড়া প্রথম থেকেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড খুলে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মুহূর্তে জাপান, কুয়েত এবং বাংলাদেশ ফেরত তিনজন করোনা সন্দেহে চিকিৎসাধীন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কেন্দ্রের নির্দেশে দেশের সমস্ত স্কুলগুলিতে জারি হয়েছে নির্দেশিকা। পড়ুয়াদের সাবধানে থাকতে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের স্কুলগুলিও নিয়ম মেনে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। জেলাশাসক এবং সিএমওএইচরা বৈঠকে যোগ দেবেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বৈঠকের সময় ধার্য করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কী কী নিয়ম নির্দিষ্ট করা যায় এবং ওষুধ জোগানের পরিস্থিতি কেমন, তা খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার জেরে চিন থেকে ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যেতে পারে কি না, সেক্ষেত্রে এখানে কতটা পরিমাণ ওষুধ মজুত রয়েছে, জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে সেসব জানতে চাইবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই ঠিক হতে পারে রাজ্যের তরফে বিশেষ নির্দেশিকা।