রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলতে শুক্রবার সকালের বিমানে রাজকোট রওনা হলেন বাংলার ক্রিকেটাররা। তবে নিউজিল্যান্ড থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরায় দলের সঙ্গে যেতে পারছেন না ঋদ্ধিমান সাহা। শনিবার তিনি বাংলা শিবিরে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
কর্ণাটককে হেলায় হারিয়ে বাংলা ফাইনালে উঠলেও টপ অর্ডার ব্যাটিং ব্যর্থতা দুশ্চিন্তায় রেখেছে কোচ অরুণ লালকে। তবে ঋদ্ধিমান সাহা ফেরায় সেই সমস্যা কিছুটা মিটবে বলে আশাবাদী বাংলার কোচ। দু’দিনের ছুটি কাটাতে তিনি রায়পুরের ফার্ম হাউসে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার পর লালজি বলেন, ‘এখনই প্রথম একাদশ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। পিচ দেখার পর সিদ্ধান্ত নেব। তবে ঋদ্ধিমান বিশ্বের এক নম্বর উইকেটরক্ষক। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে ওর। খুব ভালো ব্যাটও করছে। ঋদ্ধির দলে ফেরাটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। ও উইকেটের পিছনে দাঁড়ালে আমাদের ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা হবে।’
ফাইনাল নিয়ে মারাত্মক উত্তেজিত ঋদ্ধি নিজেও। এই ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে আবেগ ও নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই। ঋদ্ধি যদিও সে সব নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করা। তিনি বলছিলেন, ‘‘বাংলার বেশির ভাগ ম্যাচের হাইলাইটস দেখেছি। খুব ভাল লাগছে দেখে, পেস বিভাগ ও ফিল্ডিং এতটা উন্নতি করেছে। স্লিপ ক্যাচিং দেখে আমি মুগ্ধ।’’
বিপক্ষের বড় অস্ত্র উনাদকাট। কিভাবে বাংলা সামলাবে তাকে? ঋদ্ধির উত্তর, ‘‘বোলারের নাম দেখে খেললে ব্যর্থতা অনিবার্য। বলের মান অনুযায়ী ব্যাট করা উচিত। আমাদের উপরের সারির ব্যাটসম্যানেরা রান পাচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু ভয় পেলে ব্যর্থতার সম্ভাবনা আরও বেশি। তাই উনাদকাট নিয়ে ভাবতে চাই না। বলের মান অনুযায়ী খেলব।’’
ফাইনালে বাংলার সাফল্যের সিংহভাগ কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন বোলাররা। বিশেষ করে পেসাররা। রাজকোটের পিচেও ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমাররা ভালো পারফর্ম করবেন বলে আশা করছেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। তবে শাহবাজ আহমেদের মতো স্পিনারের ভূমিকা ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন কোচ অরুণ লাল। তিনি বলেন, ‘শাহবাজ অলরাউন্ডার। ও যেমন আমাদের এক নম্বর স্পিনার, তেমনি ব্যাট হাতেও কঠিন সময়ে দলকে ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। এটাই ওর প্রথম মরশুম। কিন্তু পারফরম্যান্সে তা বোঝা যাচ্ছে না।’ ফাইনালে ব্যাটিং শক্তিশালী করতে এক স্পিনারও খেলাতে পারে বাংলা। সেক্ষেত্রে অর্ণব নন্দীর বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।