মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ‘ছিঃ, বিজেপি ছিঃ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। মিছিল করতে হবে। বিজেপির বিভেদের নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। বাংলায় কোনো এনআরসি, সিএএ হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনে বুধবার পথে নামলেন সবংয়ের তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা। পা মেলান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা।
এই বিজেপি বিরোধী মিছিলের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, বিধায়ক গীতারানি ভুঁইয়া, যুব তৃণমূল সভাপতি আবু কালাম বক্স। সবং কলেজ থেকে বেরিয়ে তেমাথানি হয়ে বাস স্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার মিছিল হয়। অগুনতি মানুষ এই মিছিলে যোগ দেন। মিছিল শেষে বেলদা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি পথসভা হয়। এদিনের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন নারায়ণগড় ব্লকের বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ, ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ–সহ জেলা নেতৃত্ব।
মিছিল শেষে পথসভায় সাংসদ মানস ভুঁইয়া বলেন, “বিজেপি যে যে রাজ্যে ক্ষমতায় থেকেছে, সেখানকার সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিয়েছে। এনআরসি ও ক্যা–র বিরুদ্ধে দিল্লিতে যখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল, তখন উসকানি মূলক বিবৃতি দিয়ে দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশের হৃৎপিণ্ডের মানবতাকে ছিন্নভিন্ন করে দিল গেরুয়াবাহিনী। যে ভাবে গুজরাত উত্তরপ্রদেশ, দিল্লীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই বাহিনী, তারাই আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে”।
এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার মিছিলে ‘গোলি মারো’ স্লোগান প্রসঙ্গে মানস জানান, ‘গোলি মারো’ স্লোগান তোলার সাহস দেখান, তাঁদের জায়গা বাংলার পথঘাট নয়। তাঁদের জায়গা বাংলার জেলখানায়। মুখ্যমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিভেদ সৃষ্টিকারী বিজেপি ও আরএসএসের দাঙ্গা বাধানোর মানসিকতা ঠেকাতে বাংলার মানুষ যে প্রস্তুত, সে কথাও তিনি মনে করিয়ে দেন।