বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব নতুন নয়। ভিনদল থেকে আসা নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীদের বনিবনার অভাবের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। তবে পুরভোটের আগে রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোন স্তরে পৌঁছেছে, তার আঁচ নিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দলীয় সূত্রের খবর, গত রবিবার শাহের সঙ্গে দলীয় বৈঠকে দুই বিধায়ক এবং এক সাংসদ তাঁকে ঠারেঠোরেই বুঝিয়ে দেন যে, নবাগত হওয়ায় তাঁরা সাংগঠনিক কাজে যথেষ্ট সহযোগিতা পান না।
প্রসঙ্গত, সামনেই পুরভোট। একুশের আগে এই নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে দিলীপ-মুকুল বাহিনী। যুদ্ধ ক্ষেত্রে নামতে ‘শোভন চাই’ ‘শোভন চাই’ রব তুলে শহরে ছেয়েছে পদ্ম ফুলের পোস্টার। তবে কলকাতা পুরসভার মতো নির্বাচন হবে বিধাননগরেও। সেখানেও রয়েছেন শোভনের মতই এক নবাগত নেতা। কিন্তু সেই সব্যসাচী দত্তকে দলের কাজে কোনওভাবেই ব্যবহার করছে না রাজ্য বিজেপি শিবির। ঘটনার জেরে বহুদিন অসন্তুষ্ট থাকার পর এবার অমিত শাহের কাছে নিজের আক্ষেপ জানিয়েছেন সব্যসাচী।
বিজেপি সূত্রের খবর, রবিবার নিউ টাউনের একটি হোটেলে দলীয় বৈঠকে শাহের সামনে বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর আক্ষেপের কথা। শুধু তাই নয় তিনি আরও জানিয়েছেন, অন্যান্য দল থেকে আসা তাঁর মতো একাধিক নেতাকে কাজেই লাগাচ্ছে না রাজ্য বিজেপি। পুরভোটের আগে নতুন পুরনো-বিভেদ না করে যেন সকলকে কাজে লাগানো হয় এবং অন্য দল থেকে আসা বিধায়করা যাতে পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ পান, সে অনুরোধও জানান তিনি।
সব্যসাচীর সুরে সুর মিলিয়েছেন বিজেপিতে নবাগত অর্জুন সিং ও দুলাল বররাও। জানা গিয়েছে, তৃণমূল থেকে এসে বিজেপির প্রতীকে জয়ী অর্জুন শাহের সামনে একই ধরনের কথা বলেছেন। আর তৃণমূল থেকে আসা আর এক বিধায়ক দুলাল এখন কোনও রাখঢাক না করেই বলছেন, রবিবার শাহের সামনে তিনিও ওই দু’টি প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এভাবে দলের নতুন-পুরনো বিভেদ এবং অন্তর্কলহের কথা বাইরে জানাজানি হতেই পুরভোটের আগে অস্বস্তি বেড়েছে শাহ-সহ গোটা গেরুয়া শিবিরের।