গুজরাতকে ৯২ রানে হারিয়ে রঞ্জি ফাইনালে বাংলার মুখোমুখি সৌরাষ্ট্র। এদিকে ফাইনালে ওঠার পরের দিন বিশ্রামেই কাটালেন বাংলার পেস ত্রয়ী। যদিও রণকৌশল সাজানোর জন্য চোখ রাখলেন গুজরাত বনাম সৌরাষ্ট্র ম্যাচের দিকে। তবুও নিজেদের মতো করেই কাটালেন বিশ্রামের দিন এবং জানালেন, পুজারাকে নিয়ে বেশি চাপ নেবেন না। নিজেদের খেলার ওপর জোর দেবেন।
কর্নাটকের কে এল রাহুল, মণীশ পাণ্ডে এবং করুণ নায়ারের মতো তারকার বিরুদ্ধে সাফল্যের পরে বাংলার তিন পেসারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ চেতেশ্বর পুজারা। যাঁর ধৈর্য অপরিসীম। রান করার কোনও তাড়া নেই। বোলারদের ক্লান্ত করে দেওয়াই যাঁর স্বভাব। এ বার তাঁর বিরুদ্ধেই নতুন অঙ্ক কষা শুরু ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার ও আকাশ দীপের।
পুজারার সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে একমাত্র ঈশানের। ভারতীয় ‘এ’ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন ঈশান। সেখানে নেটে পুজারাকে দীর্ঘক্ষণ বল করেছেন। ঈশান জানান, ‘‘পুজারার ইনসুইংয়ে সমস্যা হয়। নিউজিল্যান্ড সফরে নেটে বল করে দেখেছি, ভিতরের দিকে বল এলে ও কোনও রকমে সামলায়। টেস্টে ট্রেন্ট বোল্টের বিরুদ্ধে তাই ব্যর্থ। দ্বিতীয় টেস্টে ওর ব্যাট ও পায়ের ফাঁক দিয়ে স্টাম্প ছিটকে দিয়েছে বোল্ট। কিন্তু ওর ধৈর্যই শক্তি”।
অন্যদিকে মুকেশ জানালেন, “সৌরাষ্ট্রও আমাদের মতো দলীয় সংহতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু কর্নাটকের মতো দলকে যখন হারাতে পেরেছি, সৌরাষ্ট্রকেও পারব। রাহুল, মণীশ, করুণরা আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি। পুজারাও পারবে না।’’
বিশ্রামের দিন কেউ কাটালেন বাড়িতে মায়ের হাতের রান্না উপভোগ করে, কেউ আবার বাড়ি যেতে না পারায় মায়ের হাতের রান্না মিস করলেন। মুকেশ কাটালেন নিজের মতো অরিজিৎ সিংয়ের গান শুনে। এবার রণে যাওয়ার জন্য তৈরি বাংলা দল। রঞ্জি ট্রফি ঘরে এনে ১৩ বছরের অপেক্ষা পূর্ণ করার পালা।