দেশে ‘আচ্ছে দিন’ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্যে ক্ষমতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আচ্ছে দিন যে পুরোটাই জুমলা তা এতদিনে দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট। এবার প্রকাশ্যে এল মোদীর আরও এক জুমলা। মোদী বলেছিলেন ৩৭০ ধারা রদের পরে নিজের মনমত সাজাবেন ভূস্বর্গকে। কিন্তু ৭ মাস কেটে গেলেও সেখানে ১ টাকাও খরচা করেননি মোদী।
জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর মোদী সরকারের দাবি ছিল মনের মতো করে কাশ্মীরকে ঢেলে সাজাবেন তিনি। ঢালাও বিনিয়োগ করে এক অনন্য রাজ্য হিসাবে দেশে অধিষ্ঠিত হবে উপত্যকা। কোথাও থাকবে না কোনও খামতি। তবে ওই আশ্বাসই সার। তথ্য বলছে, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর ৭ মাস নোটবন্দি হয়েই দিন কেটেছে ভূস্বর্গের। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল উপত্যকায় বিনিয়োগ হবে ১৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা। তবে এত দিনে সেখানে ১ টাকাও বিনিয়োগ করেনি সরকার। বুধবার লোকসভায় একথা স্বীকার করে নিল সরকারও।
বুধবার লোকসভা অধিবেশনে কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, এখনও পর্যন্ত কোনও বিনিয়োগ হয়ে ওঠেনি উপত্যকায়। সরকারের এহেন উত্তরের পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি বিনিয়োগ হবে কাশ্মীরে? নাকি আস্বাসের ‘কুমির ছানা’ই বার বার তুলে ধরা হবে ‘বিকাশ’ প্রশ্নে? তবে সহজে ছাড়েননি তৃণমূল সাংসদ পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বহুবার দাবি করেছে ৩৭০ বাতিলের পর সার্বিক উন্নতি বেড়েছে কাশ্মীরের। প্রচুর বিদেশি সংস্থা সেখানে বিনিয়োগ করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। ৩৭০ ধার প্রত্যাহারের পর ১ টাকাও বিনিয়োগ হয়নি সেখানে। সবটাই ইচ্ছাপ্রকাশ করা হয়েছে। ফলে বিনিয়োগের দাবি হাস্যকর। মোদী সরকারের বহু ইচ্ছাই বাস্তবায়িত হয়নি। অধিকাংশই রাজনৈতিক জুমলা। এই ইচ্ছা যে বাস্তবায়িত হবে তাঁর কি প্রমাণ রয়েছে?’