আমি আশা করেছিলাম যে বিজেপি নেতারা অন্তত ফোন করবেন, সাহায্য করার কথা বলবেন, সান্ত্বনা দেবেন। কিন্তু আমি মুসলিম বলেই আমায় দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন খোদ দিল্লীর ব্রহ্মপুরি মণ্ডলের বিজেপি সংখ্যালঘু সেল-এর প্রধান মহম্মদ আতিক।
প্রসঙ্গত, কারাওয়াল নগরে অবস্থিত উসমানপুরের বাসিন্দা আতিকের কাপড়ের কারখানা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে তাতেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে এখন পথে বসার অবস্থা তাঁর। হতাশ আতিক বলছেন, ‘এখনও বিজেপি ছাড়ি নি, কিন্তু আর কিছুদিনের মধ্যে যদি পার্টি আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে…আমি রাস্তায় এসে গেছি, ফের নিজের পায়ে দাঁড়াব কী করে?’
তাঁর কথায়, ‘আমার প্রতিবেশী ফোন করে জানান আগুনের কথা। আমি নিজে এখনও ভয়ে কারখানায় যাই নি। কাছেই আমার ছোট ভাইয়ের কারখানাতেও আগুন ধরানো হয়। আমি আশা করেছিলাম যে বিজেপির নেতারা অন্তত ফোন করবেন, সাহায্য করার কথা বলবেন, সান্ত্বনা দেবেন।’
উল্লেখ্য, পাঁচ সন্তানের পিতা আতিক গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিজেপির নিচুতলার কর্মী হিসেবে কাটিয়েছেন। কিন্তু তাঁর গলায় এখন দল ও নেতৃত্বকে নিয়ে চাপা ক্ষোভ আর হতাশার সুর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দিল্লীর বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারির মতোই আমিও বিহারের লোক। উনি চেনেন আমাকে…কিন্তু আমার নামটা মুসলমান তো, তাই আমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন।’
আতিক জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে ভাড়া করা জায়গায় তিনি কারখানা চালু করেন। ‘দিল্লীতে হিংসা যেদিন বাড়তে শুরু করল, তার ঠিক আগের দিন আমি আমার কর্মীদের বলি যেন পাততাড়ি গুটিয়ে বাড়ি চলে যায়। যখন আগুনের খবর আসে, আমি তখন বাড়িতে…কী যে অসহায় লাগছে’, বলছেন তিনি।