গত কয়েকদিন ধরে পেট্রোল-বোমা-অ্যাসিড ছুঁড়ে, গাড়ি জ্বালিয়ে যে তাণ্ডব চলছিল দিল্লীর রাস্তায়, এখন তা থেমেছে। কিন্তু সেই তাণ্ডবের ভয়াবহতা এখনও ভুলতে পারেননি রাজধানীর বাসিন্দারা। মৌজপুর, জাফরাবাদ, চাঁদবাগ, খাজুরিখাসে এখনও দেখা যাচ্ছে রক্তের দাগ। সামনে আসছে একের পর এক নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয়। দিল্লী পুলিশের নতুন রিপোর্ট বলছে, হিংসায় গুলিবিদ্ধ অন্তত ১০২ জন। তাঁদের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়েছে, কেউ এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ধারালো অস্ত্রের কোপে ঘায়েল অন্তত ১৭১ জন।
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে হিংসার বলি ৪৭ জন। তবে সেই সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে কোপানো, ক্ষতবিক্ষত রোগীর সংখ্যা অজস্র। অন্যান্য হাসপাতালগুলির রিপোর্টও তাই বলছে। চাঁদবাগ, কারওয়াল নগরের নর্দমার ভেতর থেকে পাঁচটা দেহ উদ্ধার হয়েছে গত কয়েকদিনে। তেগ বাহাদুর হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ন’জনের মাথায় বিঁধেছিল গুলি। বাকিদের কারও মৃত্যু হয়েছে ধারালো অস্ত্রের কোপে, কেউ আবার গণপিটুনির শিকার। অ্যাসিড ক্ষত নিয়েও হাসপাতালে জীবনের লড়াই লড়ছেন অনেকে।
দিল্লী পুলিশ সূত্রে খবর, বাঁচার কাতর আর্তি জানিয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার ফোন কল এসেছে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারি ২৪ ও ২৫ তারিখেই প্রায় ১৩ হাজার ফোন এসেছে। সবকটিই বিক্ষোভ সংক্রান্ত। আতঙ্কে ও উদ্ধার করার তীব্র আর্তি জানিয়েছে ফোন করেছেন অন্তত ছ’হাজার মানুষ।’ কেবলমাত্র পশ্চিম দিল্লী থেকেই ৪৮১টি ফোন কল পেয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে তিলকনগর এলাকা থেকে ১৪৮টি, খয়াল পুলিশ স্টেশন এলাকা থেকে ১৪৩টি ফোন কল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।