ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ এতদিন বিজেপির বিরুদ্ধেই উঠে এসেছে। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক হালে মধ্যপ্রদেশ সবেতেই অন্যান্য দলের বিধায়কদের ‘আটক’ করার অভিযোগ রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এবার পাল্টা বিজেপিই হয়তো চাপে পড়ে গেল! কারণ, মহারাষ্ট্রের এক মন্ত্রী দাবি করেছেন যে, বিজেপির অন্তত ১৪-১৫ বিধায়ক মহারাষ্ট্র বিকাশ আগারি সরকারের সঙ্গে যোগযোগ রাখছে। মন্ত্রীর কথায়, রাজ্য সরকার এই কথা এখনও স্বীকার করতে চাইছে না।
এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন মহারাষ্ট্রের এনসিপি সভাপতি জয়ন্ত পাতিল। তিনি দাবি করেন, বিজেপির অন্তত ১৪-১৫ বিধায়ক তাঁদের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং তা দীর্ঘদিন ধরে। যাঁরা রাখছেন তাঁদের সঙ্গে মন্ত্রীদের সম্পর্ক ভাল বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, অন্য দলের বিধায়কদের ‘শিকার’ করা একেবারেই অনুচিত, তাঁর দল সেই জিনিস করতেও চায় না। তাঁদের একটাই লক্ষ্য, এই সরকারের কাজ আরও বিকশিত করা।
গতকালই এই খবরে তোলপাড় হয়েছিল যে, মধ্যপ্রদেশের ৮ বিধায়ককে গুরগাঁও-এর এক হোটেলে বন্দি করেছে বিজেপি। তাঁদের মধ্যে চারজন কংগ্রেসের, দুজন বহুজন সমাজ পার্টির, একজন সমাদবাদী পার্টির ও আর এক জন নির্দল বিধায়ক। কমলের সরকারের এক মন্ত্রীর দাবি ছিল, রাজ্যের ৮ বিধায়ককে হোটেলে বন্দী করে বিজেপি মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়তে চাইছে। এর আগে কর্ণাটকেও একই অভিযোগ ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। সেখানে তো আবার কংগ্রেস-জেডিইউ সরকারকে ফেলে বিজেপিই সরকার গঠন করেছে। এবার ঠিক উল্টো ঘটনার সম্মুখিন হল বিজেপি!
