ক্রাইস্টচার্চে তখন সন্ধে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা অখণ্ড অবসরে। কিন্তু দু’জনের চোখ বিসিসিআই টিভির স্কোর আপডেটে। ইডেনে কর্নাটককে হারিয়ে বাংলা ফাইনালে ওঠার পর স্বস্তি। দু’জনের একজন মহম্মদ সামি, অন্যজন ঋদ্ধিমান সাহা। হ্যাঁ, বহু টালবাহানার পরে ফাইনালের টিমে নেওয়া হল ঋদ্ধিমানকে। সামি না ফাইনালে না থাকলেও, তাঁর উপস্থিতি টের পাওয়া গেল ইডেনে।
দলের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার আশায় ফোন করেছিলেন ভারতীয় পেসার শামি। বাংলার ক্রিকেটারদের কী বললেন তিনি? ঈশান বলছিলেন, ‘‘শামি ভাই খুব খুশি। আমাকে অভিনন্দন জানাল। ফাইনাল জেতার আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়েছে।’’
ক্রাইস্টচার্চ থেকে ফোনে কথা বলতে গিয়ে ঋদ্ধির গলায় ফাইনাল নিয়ে উত্তেজনা ধরা পড়ে গেল, ‘স্কোরের দিকে চোখ রাখছিলাম। বাংলা ফাইনালে ওঠায় আমি আর সামি স্বাভাবিক ভাবেই খুব খুশি। তবে আলাদা করে কোনও সেলিব্রেশন করিনি। ওটা বরং ফাইনালের জন্য তোলা থাকুক।’
সাধারণত কোনও কিছু নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা প্রকাশ পায় না ঋদ্ধির। কিন্তু এ দিন যেন আবেগ ছুঁয়ে যাচ্ছিল তাঁকেও। বলে দিলেন, ‘রঞ্জি ফাইনালে সবার খেলার সুযোগ হয় না। আবার যারা খেলেছে, তারা সবাই যে জিতেছে, তা নয়। সে দিক থেকে দেখলে রঞ্জি ফাইনালে সুযোগ পাই, সেটা বিশাল ব্যাপার হবে। নিজের সেরাটা দিয়ে বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করার চেষ্টা করব।’
এ বার রঞ্জি খেলেননি ঋদ্ধি। তবে টিমের আপডেট তাঁর ঠোটস্থ। বাংলার ফাইনালে ওঠার কারণ হিসেবে তুলে ধরলেন, ‘একটা টিম হিসেবে খেলেছে বাংলা। সবাই পারফর্ম করেছে। সবাই যখন পারফর্ম করে, তখন কোনও এক জনের উপর থেকে চাপ কমে যায়। বাংলা টিমে সেটাই হয়েছে।’
সূত্রের খবর, বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও বাংলার জয়ের পরে প্রত্যেককে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি। অভিনন্দন জানিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহাও। তাঁর টুইট, ‘অপূর্ব জয়। এ বার মিশন ফাইনাল।’ মঙ্গলবার দুপুরেই ফাইনালের দল ঘোষণা করা হয় সিএবি-তে। দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন কৌশিক ঘোষ। এসেছেন সুদীপ ঘরামি। ফাইনালে দস্তানা হাতে ফিরছেন ঋদ্ধিমান সাহা। গোলাম মুস্তাফাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না ফাইনালে। মনোজ তিওয়ারির আঙুলে চোট নিয়ে উদ্বেগ ছিল। এ দিন ম্যাচ শেষে তিনি বলে দেন, ‘ফাইনালে উঠেছি। এই আনন্দই আমার ব্যথা কমিয়ে দিয়েছে। ফাইনালে খেলবই।’