দিন দুই আগেই কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং অভিযোগ করেছিলেন, মধ্যপ্রদেশ সরকার ফেলতে বিধায়কদের ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা ‘অফার’ দিচ্ছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথও সেই একই অভিযোগ করেছেন। এবার মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের উপর সত্যিই সঙ্কট দেখা গেল। কংগ্রেসের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশ সরকার ফেলতে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি এবং নির্দল মিলিয়ে মোট ৮জন বিধায়ককে গুরগাঁওয়ের হোটেলে আটকে রেখেছিল বিজেপি। এদের মধ্যে ৬ জনকে রাতের মধ্যে উদ্ধার করা গিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে সরকারপক্ষের মোট আট বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদের মধ্য কংগ্রেসের ৪ জন, বহুজন সমাজ পার্টির ২ জন (এঁদের মধ্যে একজন কংগ্রেসে যোগদান করেছেন), সমাজবাদী পার্টির একজন এবং একজন নির্দল বিধায়ক আছেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই আটজনকে মধ্যপ্রদেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে তাঁদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে হরিয়ানার একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়। এই ঘটনার রীতিমতো হুলুস্থুল পড়ে যায় মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস শিবিরে। রাতভর বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। রাতেই গুরগাঁওয়ে ছোটেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তরুণ ভানত, দিগ্বিজয় সিংয়ের ছেলে জয়বর্ধন সিং এবং শীর্ষস্থানীয় নেতা জিতু পাটওয়ারি। রাত দুটো নাগাদ তাঁদের দেখা যায় ওই হোটেল থেকে বহিষ্কৃত বিএসপি বিধায়ক রামভাইকে বের করে নিয়ে যেতে।
কংগ্রেস নেতা জয়বর্ধন সিংয়ের দাবি, মঙ্গলবার মাঝরাত পর্যন্ত ৬ জন বিধায়ককে তাঁরা উদ্ধার করতে পেরেছেন এবং বাকি ২জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে। এই বিধায়কদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিজেপি তাঁদের আটকে রেখেছিল। যদিও, কংগ্রেসের দাবি ঘিরে যথেষ্ট সংশয় আছে। আর তাছাড়া ৬ জন যদি উদ্ধারও হন তাতেও ভবিষ্যতে বিজেপি আবারও যে এদের ভাঙানোর চেষ্টা করবে না, তা নিশ্চিতভাবে কেউই বলতে পারছে না। আর এমনিতেও মধ্যপ্রদেশ সরকার সুতোয় ঝুলছে। ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৬। কংগ্রেসের দখলে আছে ১১৪টি আসন। সমাজবাদী পার্টির ১, বিএসপির ২ এবং ৪ নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকারে আছে কংগ্রেস। বিজেপির দখলে আছে ১০৭ জন বিধায়ক। আপাতত ২টি আসন শূন্য হয়ে আছে।
