পুলওয়ামা হামলা কাণ্ডের পর জঙ্গীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই অপরাধেই এই হামলার ১ বছরেরও বেশি সময় পর গ্রেফতার করা হল একই পরিবারের বাবা ও মেয়েকে। গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মূল আত্মঘাতী সন্ত্রাসবাদী আদিল আহমেদ দর, শাকির মাগরে ও সিনিয়র জইশ কমান্ডারকে আশ্রয় দিয়েছিল তাঁরা। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে পুলওয়ামার এই বাবা ও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত আদিলরা।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কথায়, এক বছরের বেশি পুরনো এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল এক জইশ-এ-মহম্মদ জঙ্গিকে। ধৃতের নাম শাকির বাশির মাগরে। ধৃত ব্যক্তি জইশ জঙ্গিদের চর। সেইসময় আধাসেনাবাহিনীর কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দরকে আশ্রয় এবং অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা সে করেছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। ধৃত শাকির বাশির মাগরে পুলওয়ামার কাকাপোরার বাসিন্দা। তাঁর একটি আসবাবের দোকান আছে। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি মহম্মদ উমর ফারুক নামে এক পাক জঙ্গির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। ওই জঙ্গির সংস্পর্শে এসেই লস্করে নাম লেখায় বাশির। গোপনে জঙ্গীদের সর্বক্ষণের এজেন্ট হয়ে ওঠে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
এনআইএ-র এক উচ্চপদস্থ অফিসারের কথায়, আত্মঘাতী হামলার আগে, মাগরে গাড়ি চালিয়ে আসে এবং হামলা চালানোর জায়গা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে গাড়িটি রেখে চলে যায়। হামলা ও হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে মাগরে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গীগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪০ জওয়ান শহিদ হন। সিআরপিএফের কনভয় লক্ষ্য করে অতর্কিতে এই হামলা চালানো হয়েছিল। সেইসময় গোটা দেশ গর্জে উঠেছিল এই ঘটনার প্রতিবাদে।