লাভপুর থানার একটি খুনের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। সেই মামলার জন্যই এদিন সিউড়ি থানায় হাজিরা দেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায়। এদিন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাঁকে জেরা করে। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি সিউড়ি থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। সেদিন প্রায় ৬ ঘণ্টা মুকুল রায়কে জেরা করেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, লাভপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিন সিপিএম নেতাকে খুনের অভিযোগ আছে। মনিরুল ইসলাম সেই সময় ফরওয়ার্ড ব্লক করতেন। সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। সেই খুনের ঘটনায় মুকুল রায়ের নাম জড়ানোয় তাঁকে পুলিশের পক্ষ থেকে জেরা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জুন মাসে লাভপুরের নবগ্রামে সালিশি সভায় বচসার জেরে কাটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ওই খুনের ঘটনায় লাভপুরের তৎকালীন বিধায়ক মনিরুল ইসলামের নাম জড়ায়। যদিও পরবর্তীতে তাঁর নাম বাদ যায়। এদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ফের তদন্ত শুরু করে বীরভূম জেলা পুলিশ। তারপরই গত ডিসেম্বর মাসে বোলপুর আদালতে যে চার্জশিট পুলিশ জমা দেয় তাতে মনিরুল ইসলাম ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম রয়েছে।
ওই ঘটনার পরই আদালতের দ্বারস্থ হন মুকুলবাবু। আদালত তাঁকে কিছু দিনের জন্য রক্ষাকবচ দেয়। একই সঙ্গে নির্দেশ দেয় তিনি বোলপুর, শান্তিনিকেতন ও লাভপুরে যেতে পারবেন না বলে। এদিকে লাভপুরের তিনজন খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুল রায়কে তলব করে পুলিশ। গত ১ জানুয়ারি তাঁকে দুবরাজপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন লাভপুরের মামলায় তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক। আর তার তিন সপ্তাহ পর গত ২৩ জানুয়ারি সিউড়িতে মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এদিন ফের সেই সিউড়ি থানাতেই তাঁকে ম্যারাথন জেরা করে পুলিশ।