লখনউ জেলে গরাদের ভিতরই প্রাণ হাতে পারেন চিকিৎসক কাফিল খান৷ পাঁচদিন যাবৎ ভাত পাচ্ছেন না তিনি৷ এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কাফিল খানের স্ত্রী সবিস্তা খান৷ হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতিকে আশঙ্কার কথা জানিয়ে চিঠিও লিখেছেন সবিস্তা, জানিয়েছেন “আমি মথুরা জেলে আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম৷ তাকে জেলের ভিতর মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে৷ খাবারও দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে৷ আমার অনুমান, তাঁকে খুন করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷
২০১৭ সালে নিজের টাকায় অক্সিজেন কিনে বহু রোগীর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন কাফিল খান৷ তাঁর পরেই প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে যোগী সরকার। গত ১২ ডিসেম্বর কাফিল খানকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স৷ অভিযোগ তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিরোধিতার সময়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন৷ ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে অভিযোগ আনা হয়৷ মথুরা জেলে রাখা হয় তাকে৷ দিন কয়েক আগে কাফিল খানের মামাকে বাড়িতে ঢুকে হত্যা করে একদল দুষ্কৃতী৷ তখন থেকেই কাফিল খানের সুরক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত তার পরিবারের সদস্যরা৷