দিল্লী জুড়ে আতঙ্কের আবহ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের দিন থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজধানী। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনকারী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিবাদ, পরোক্ষভাবে উস্কানির জেরেই উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লী। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে হিংসা ভয়াবহ আকার নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খায় রাজধানীর সুরক্ষা বলয়। এখনও পর্যন্ত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক মানুষ জখম হন।
এরই মধ্যে দিল্লী পুলিসের কন্ট্রোল রুমে আছড়ে পড়তে থাকে একের পর অশান্তি খবরের ফোন কল। শুধুমাত্র পশ্চিম দিল্লীতেই মাত্র ৫ ঘন্টায় ৪৮১টি ফোন কল আসে বলে খবর। যার মধ্যে ১৪৮টি তিলক নগর থেকে এবং বাকিগুলো পঞ্জাবিবাগ, রাজৌরী গার্ডেনের মতো দিল্লীর ব্যস্ত জায়গা থেকে। আগাম হিংসার আশঙ্কা থেকে প্রত্যেকটি ফোন করা হয়। কিন্তু পুলিশ অধিকর্তাদের তরফে জানানো হচ্ছে অধিকাংশ হিংসার খবরই ভুয়ো।
দিল্লী পুলিশ জানাচ্ছে, স্থানীয় একটি জুয়ার ঠেকে পুলিসি অভিযানের পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবরকে রং চড়িয়ে পরিবেশন করাতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি পুলিশের। দিল্লীর দক্ষিণ-পূর্ব পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আর. পি. মিনা জানান, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যে সব ফোন কল এসেছে তার অধিকাংশই ভুয়ো।’ দিল্লী পুলিশের তরফে টুইটে গুজবে কান না দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। দায়িত্ববান নাগরিকদের এইসব ঘটনা এড়িয়ে চলার আর্জি জানিয়েছে দিল্লী পুলিশ। এ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে।