এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বেই করোনা আতঙ্কে ভুগছে সাধারণ মানুষ। এই মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় কার্যত অসহায় চীনের মত দেশ। সেই দেশ থেকেই উৎপত্তি করোনার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্ষম সেখানকার চিকিৎসকরা। জানা গেছে, সেখানে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০০০। চীন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-এর। পাশাপাশি এও বলা হচ্ছিল, যেভাবে করোনাভাইরাস বিস্তৃত হচ্ছে তাতে এটি বিশ্বব্যাপী সমস্যার আকার নেবে। আর দিনদিন আশঙ্কা সেদিকেই এগোচ্ছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরেও পৌঁছে গিয়েছে মারণ করোনাভাইরাস। এই প্রথম সেখান থেকে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর আসছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বিশ্বের নিরিখে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০০০। চীনে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।
চীন ছাড়াও ভারত, আমেরিকা, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান-সহ বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে এই ভাইরাসের অস্বস্তি পাওয়া গিয়েছে। দিনেদিনে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাস টেস্টে প্রথম ‘পজিটিভ’ ফলাফল যেই ব্যক্তির দেহ থেকে পাওয়া গিয়েছিল, তাঁকে হত্যা করেছে উত্তর কোরিয়া প্রশাসন। যেমন তেমন ভাবে নয়। গুলি মেরে হত্যা করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। সেটাও আবার সরাসরি কিম জং উনের নির্দেশেই।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের জেরে মার্কিন মুলুকে মৃত্যু হয়েছে এক বছর ৫০-এর ব্যক্তির, তিনি ওয়াশিংটনের বাসিন্দা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, সরকার সমস্ত রকম ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মাঠে নেমেছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ১৫ জন ব্যক্তি ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে এই দেশে। কিন্তু তাঁর ঘোষণার পরেই এদিন প্রথমবার নিউইয়র্ক শহর থেকে সংক্রমণ খবর আসায় শঙ্কা আরও বেড়ে গেল। অন্যদিতে, ইরানে এই করোনাভাইরাস প্রায় মারণলীলা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৮!